তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এবার আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করল ED। সংবাদমাধ্যম PTI-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার এই মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার মামলায় মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, মহুয়ার সঙ্গে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে।
এর আগে মহুয়া মৈত্র ও ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে দিল্লির দফতরে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু প্রচারের কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে যান মহুয়া। বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংক্রান্ত মামলা বা ফেমা আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, দু’জনকেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় (ফেমা) আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
কৃষ্ণনগর আসনের প্রাক্তন টিএমসি সাংসদ মৈত্রর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর সিবিআই গত মাসেই তল্লাশি চালায় তাঁর বাড়িতে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মহুয়াকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর আগে তদন্তের সময় সিবিআই-এর তরফে জানা গেছিল, লোকপালের নির্দেশে মহুয়া এবং হিরানন্দানির বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে। সেই তদন্তের রিপোর্ট তাদের আগামী ৬ মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে মহুয়াতে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপির লোকসভার সদস্য নিশিকান্ত দুবের করা অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পরই লোকপাল সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দেয়। নিশিকান্ত অভিযোগ করেছিলেন, মহুয়া হিরানন্দানির কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছিলেন।
রবিবার মহুয়ার সমর্থনে নদিয়ার ধুবুলিয়ায় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দলের প্রার্থী এবং নেতাদের বলে দেন, ইডি-সিবিআই তলব করলে তাদের যেন জানিয়ে দেন যে ভোটের পর দেখা করবেন। মমতার দাবি, ভোটের সময় এ সব করা যায় না। পাশাপাশি, সংসদ থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি।
কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে মহুয়া মৈত্রকে দ্বিতীয় বার প্রার্থী করার পরেও ‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করে তাঁকে। কলকাতার বাসভবনেও হানা দেন গোয়েন্দারা। রবিবার ধুবুলিয়ায় সভা শেষে মহুয়া বললেন, 'দেশের মানুষ দেখছে, কৃষ্ণনগরের মানুষ দেখছে। যত পেছনে লেগেছে, ভোট বেড়েছে।’