জল্পনা ছিল, হলও তাই। ২১ জুলাইয়ের (21 July) ভার্চুয়াল সভার মঞ্চ থেকে আর কোনওরকম রাখঢাক না করে বিজেপির (BJP) মোকাবিলায় সরাসরিই ফ্রন্ট গড়ার আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে এবারও ২১শে জুলাই ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের সভার সবচেয়ে বড় চমক ছিল, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, ত্রিপুরার মতো ভিনরাজ্য, এমনকী দেশের রাজধানী দিল্লিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ চালানর ব্যবস্থা করা। আর মমতার ভাষণ শুনতে উপস্থিত ছিলেন পি চিদম্বরম, শরদ পাওয়ার, রামগোপাল যাদব, জয়া বচ্চন সহ বিভিন্ন দলের তাবড় নেতৃত্ব। এদিনের ভাষণে বিজেপি বিরোধী সেই সমস্ত নেতৃত্বের কাছে ফ্রন্ট গড়ার আহ্বান জানান মমতা।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, "২০২৪-এ কী হবে জানি না। তবে আগেভাগে পরিকল্পনা করতে হবে। নিজেদের স্বার্থ ভুলে আমাদের সবাইকে একজোট হতে হবে। সব নেতাদের বলছি, ফ্রন্ট তৈরি করুন। পরের সপ্তাহে ২-৩ দিনের জন্য দিল্লি যাব। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব। শরদ পাওয়ারদের কাছে অনুরোধ, দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করুন। সেই বৈঠকে আমিও থাকব। আলোচনা হোক।" এমনকী ২০২৪-এ দেশে ফন্ট ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে বলেও এদিনের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
প্রসঙ্গত পায়ে চোট লাগার কারণে গত বিধানসভা নির্বাচনে হুইলচেয়ারে বসে প্রচার করেন তৃণমূল নেত্রী। সেইসময় তাঁকে প্রায়শই বলতে শোনা যেত, "একপায়ে বাংলা দখল করল, আর জোড়াপায়ে দিল্লি।" আর বিধানসভা ভোটে জয়ের পর কার্যত সেই ২০২৪-এর নির্বাচনকেই এবার পাখির চোখ করেছেন মমতা। এদিকে দেশে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরার জন্য মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী সোশ্যাল সাইটে হ্যাশট্যাগ 'বাঙালি প্রধানমন্ত্রী' প্রচারও শুরু হয়েছে। সেই জায়গা থেকে দেখতে গেলে এবারের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে দিয়ে দিল্লি বিজয়ই যে তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য সেকথাই মমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।