সংসদে রং বোমা নিয়ে হট্টগোলের জেরে সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের শোরগোলের জেরে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ মোট ৪৭ জন বিরোধী সাংসদকে অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা।
এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের ৯ সাংসদ, রয়েছেন কংগ্রেস, ডিএমকে সাংসদরাও। খবর শুনে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ”যা চলছে তা একেবারেই কাঙ্খিত নয়। আমি ভাগ্যবান যে এখন আর সাংসদ নই।”
গত ১৩ তারিখ লোকসভায় ঢুকে গ্যাস হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। ইতিমধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিন সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই নিরাপত্তা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে বিরোধীরা সরব হতেই হট্টগোল শুরু হয় দুই কক্ষে। তারপরই সাসপেন্ড করা হয় সাংসদদের।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়। রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। এই অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৪৭ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল।