মানিক ভট্টাচার্য নাকি 'নিখোঁজ'। কিন্তু দিল্লির বঙ্গ ভবনের (Banga Bhawan Delhi) ৫১২ নম্বর ঘর খোঁজ মিলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA)। যদিও সংবাদমাধ্যমকে দেখেই মেজাজ হারান মানিক ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের স্বস্তিতে আপাতত স্বস্তিতে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। আজ ফের মামলার শুনানি রয়েছে।
প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট (OMR Sheet) নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় গতকাল রাত ৮টার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই-এর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি প্রয়োজনে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে বলেও জনিয়ে দেয় আদালত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় বুধবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না মানিক ভট্টাচার্যকে। যার জেরে সাময়িক স্বস্তি পান মানিক।
প্রসঙ্গত, তথ্যের অধিকার আইনে পরীক্ষার ওএমআর শিট দেখতে চান কয়েকজন পরাক্ষার্থী। কিন্তু পর্ষদের তরফে ওই ধরনের কোনও ওএমআর শিট দেওয়া হয়নি। ২-১ জনকে দেওয়া হলেও মূল মামলাকারীকে দেওয়া হয়নি কোনও ওএমআর শিট। তাই নিয়েই সংশয় তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, নিময় না মেনে নষ্ট করা হয়েছে ওএমআর শিট। যার প্রেক্ষিতে পর্ষদের থেকে রিপোর্ট চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Gangopadhyay)। সেই রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। জানা যায়, ২০১৪ সালে মোট ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দেন। এর মধ্যে ১২.৯৫ লক্ষ ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল। আর সেই তথ্যের প্রেক্ষিতেই আদালত প্রশ্ন তোলে, '২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কার কার ওএমএর শিট নষ্ট হয়েছে? আইন মেনে ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে কিনা তা দেখাতে পারেনি পর্ষদ। সেই তথ্য আজানা। ওএমআর শিট নষ্টের বিষয়ে পর্ষদের ভূমিকা সন্দেহজনক ও ঢিলেঢালা। সাংবিধানিক সংস্থার কাছে এই ভূমিকা প্রত্যাশা নয়।'
এরপরেই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই-কে এফআইআর দায়ের করারও নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এখন দেখার আজ কী নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন - কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, আগামী ১-২ ঘণ্টায় বর্ষণ আরও ২ জেলাতেও