"সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) বাবরি মসজিদ (Babri Masjid) মামলায় সঠিক রায় দেয় নি। সুপ্রিম কোর্ট নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এখন রাজ্য সভার সাংসদ। সর্বোচ্চ বিচারলয় এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথা বিকিয়ে দিয়েছে।" মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে এসে এমনটাই গুরুতর অভিযোগ করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম-এর (CPIM) পলিট ব্যুরোর নেতা মানিক সরকার (Manik Sarkar)। তিনি আরও বলেন, "কাশ্মীরে সংবিধান প্রদত্ত আইন তুলে দিল বিজেপি সরকার। ৩৭০ ধারা রদ করে সংবিধানকে অমান্য করা হয়েছে। আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার গোটা দেশকে হিন্দুরাষ্ট্র করতে চাইছে। সংবিধানে নাগরিকের অধিকারের কথা উল্লেখ করা আছে। কিন্তু বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের ভাবনা তৈরি করেছে।" পাশাপাশি নতুন নাগরিক আইনে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কৃষি আইন নিয়েও কেন্দ্রকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মানিক সরকার। তাঁর অভিযোগ, "কৃষক বিরোধী বিল পাশ করে কেন্দ্র বড় পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করছে। এতে কর্পোরেট সংস্থাগুলো সুবিধা পাবে। কৃষি আইন বাতিলের জন্য সারা ভারত কৃষকসভা মাসের পর মাস কৃষকসভা আন্দোলন করছে। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র সবাই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আর বিজেপি ধর্মের মাধ্যমে আন্দোলনকে ভাগ করতে চাইছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।" মানিকের কথায়, "ধর্মের নামে কেউ যাতে ভারতকে ভাগ করতে না পারে তার জন্য সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংবিধানকেই আক্রমণ করা হচ্ছে।"
অন্যদিকে বাংলার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মানিক বলেন, "বামফ্রন্টের মোকাবিলা করতে তৃণমূল বিজেপিকে বাংলায় এনেছে।" একইসঙ্গে নাম না করে বিজেপিকে বিঁধে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মানিক বলেন, "যাঁরা বলছেন একবার জিতিয়ে দেখুন না পশ্চিমবঙ্গকে সোনার পাত দিয়ে মুড়িয়ে দেব, তাঁদের ভোট দেওয়ার আগে একবার ত্রিপুরাতে গিয়ে দেখে আসবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁদের হাতে বাংলাকে তুলে দেবেন কি না।" বিজেপি ত্রিপুরায় 'কাটমানি সংস্কৃতি' চালু করেছে বলেও অভিযোগ করেন মানিক।