মণিপুরে নতুন করে হিংসার ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করল এনআইএ। সূত্রের খবর, মণিপুর পুলিশের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩ নভেম্বর ৩টি মামলা দায়ের করেছিল তারা। তার তদন্তও শুরু করে দিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এনআইএ-র তদন্ত
১। জিরিবামে এক মহিলাকে সশস্ত্র জঙ্গিরা খুন করেছে। ৮ নভেম্বর এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে জিরিবাম পুলিশ।
২। সশস্ত্র জঙ্গিরা জিরিবামের জাকুরধোর করং এবং বোরোবেকারা থানায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এনিয়ে ১১ নভেম্বর বোরোবেকারা থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয়।
৩। বোরোবেকারায় বাড়িঘর পোড়ানো ও নাগরিক হত্যার ঘটনায় ১১ নভেম্বর দায়ের হয় এফআইআর।
গত বছরের মে মাস থেকে হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর। দিন কয়েক আগে নারী ও শিশুদের মৃতদেহ উদ্ধারের পর নতুন করে শুরু হয় হিংসা। শনিবার রাতে ইম্ফল উপত্যকার বিভিন্ন জেলায় আরও তিনজন বিজেপি বিধায়ক এবং একজন কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈতৃক আবাসে হামলার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ছত্রভঙ্গ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
১১ নভেম্বর মণিপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ১০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি। ছদ্মবেশ এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা জিরিবামের জাকুর্ধোর বোরোবেকরা থানা এবং সিআরপিএফ ক্যাম্পে গুলি চালায়। পুলিশ জানায়, কয়েক ঘণ্টা পর সন্দেহভাজন জঙ্গিরা একই জেলা থেকে নারী ও শিশুসহ ৬ জন সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে। পরে তাদের মৃতদেহ মেলে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, মণিপুরে মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজ্যে শৃঙ্খলা ও শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে ইম্ফল উপত্যকার মেইতি এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী কুকি-জো গোষ্ঠীর মধ্যে জাতি-হিংসা শুরু হয়। হিংসায় ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
পার্বত্য জেলাগুলিতে মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে উপজাতি সংহতি মিছিল করে। জিরিবামে বিভিন্ন জাতির বাস। চলতি বছরের জুন মাসে খেতে কৃষকের বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর শুরু হয় হিংসা।