মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদ বিবাদে বড় রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মুসলিমপক্ষের ১১ দফা আপত্তির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ময়াঙ্ক কুমার জৈনের সিঙ্গল বেঞ্চ।
মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মামলায় বিতর্কিত জমিটি তাদের বলে দাবি করেছিল হিন্দু পক্ষ। পাশাপাশি সেখানে পুজো করার অধিকারও দাবি করা হয়েছিল আর্জিতে। হিন্দু পক্ষের আর্জিতে আপত্তি তুলেছে মুসলিমপক্ষ। তারা জানিয়েছে, উপাসনার স্থান সংক্রান্ত আইন, ওয়াকফ আইন, লিমিটেশন আইন এবং স্পেসিফিক পজেশন আইনের ভিত্তিতে হিন্দুপক্ষের আর্জি খারিজের দাবি করেছিল তারা। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিল। ফলে হিন্দুপক্ষের ১৮টি আবেদন একসঙ্গে শুনানি চলবে আদালতে।
হিন্দুপক্ষের কী দাবি?
১। ইদগাহের পুরো আড়াই একর জায়গা জুড়ে রয়েছে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের গর্ভগৃহ।
২। মসজিদ কমিটির কাছে জমির মালিকানা সংক্রান্ত কোনও রেকর্ড নেই।
৩। এই পিটিশনে CPC-এর আদেশ-৭, বিধি-১১ প্রযোজ্য নয়।
৪। মন্দির ভেঙে বেআইনিভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
৪। জমির মালিক কাটরা কেশব দেব।
৫। মালিকানার অধিকার এবং কোনও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই এই জমিটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করেছে ওয়াকফ বোর্ড।
৬। ভবনটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করেছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ। তাই উপাসনার স্থান আইন এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
৭। ASI জানিয়েছে, এই জমি কারও মালিকানাধীন নয়। একে তাই ওয়াকফ সম্পত্তি বলা যাবে না।
মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ
১। মুসলিম পক্ষ আদালতে যুক্তি দিয়েছিল যে ১৯৬৮ সালে এই জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। ৬০ বছর পর চুক্তিকে অস্বীকার করা ঠিক হবে না। তাই মামলাটি শুনানির যোগ্য নয়।
২। উপাসনালয় আইন ১৯৯১-এর অধীনেও মামলাটির শুনানি হওয়া উচিত নয়।
৩। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট যেভাবে ধর্মীয় স্থানটির পরিচয় ও প্রকৃতি ছিল তাই থাকবে। অর্থাৎ এর প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না।
৪। এই বিষয়টি লিমিটেশন আইন এবং ওয়াকফ আইনের অধীনেও দেখা উচিত।
৫। এই বিরোধের শুনানি ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে হওয়া উচিত। এটা দেওয়ানি আদালতে শুনানির মতো মামলা নয়।