বৃহস্পতিবার বিহারের নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী মন্ত্রিসভা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিরোধী দলের চাপে পরে মন্ত্রীপরিষদ শপথ নেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেন। দুপুর সাড়ে ১২ টায় শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন মেওয়ালাল এবং দুপুর ২ টার মধ্যে তিনি পদত্যাগ করেন। অর্থাৎ তাঁকে মাত্র দেড় ঘণ্টার জন্য মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে, মেওয়ালাল সরকারি বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের প্রস্তাব দেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নীতীশ কুমার ,মেওয়ালাল চৌধুরীকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। তাঁর পদত্যাগ রাজ্যপাল স্বীকার করে নিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হল অশোক চৌধুরীকে। শিক্ষা ছাড়াও অশোক চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ, বিল্ডিং নির্মাণ বিভাগ, সমাজকল্যাণ বিভাগ এবং সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগের দায়িত্ব।
২০১১ সালে ভাগলপুরের সাবাওর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিজের পদের অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে মেওয়ালাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ১৬১ সহকারী অধ্যাপক ও জুনিয়র বিজ্ঞানীদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিজের প্রভাব খাটিয়েছেন তিনি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেওয়ালাল চৌধুরীকে পাঁচ বছরের মেয়াদে উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।
তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ছিলেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। অভিযোগ পেয়ে রামনাথ কোবিন্দ ২০১৫ সালে বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ মাহফুজ আলমের অধীনে তদন্তের নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে কোবিন্দের নির্দেশে বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দ্বারা মেওয়ালাল চৌদারের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসির ৪৬৬, ৪৬৮, ৪৭১, ৩০৯, ৪২০ এবং ১২০ (ডি) ধারায় মামলা করা হয়েছিল। তার পরে জনতা দল-ইউনাইটেড তাকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে।
সাবাওর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিল্ডিং নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হন মেওয়ালাল চৌধুরী। যদিও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করে চলেছেন।