প্রকৃতির রুদ্ররোষে কেরলের ওয়েনাডে হাহাকার। ভূমিধসে ওয়েনাডে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩০০। ৩০৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ। প্রাণের খোঁজে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
ভূমিধসে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ জখম হয়েছেন। চারদিকে ধ্বংসের ছবি। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে সেতু। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ভারতীয় সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী।
অন্য দিকে, ওয়েনাডে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন। আগামী কয়েক দিনে ওয়েনাড-সহ কেরলের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওয়েনাডে যান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। ওয়েনাডের পরিস্থিতি দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন রাহুল। সাংবাদিকদের সামনে বাবাকে হারানোর কথার অনুভূতি তুলে ধরেন তিনি। রাহুল বলেন, 'এটা ওয়েনাডের জন্য, কেরল এবং জাতির জন্য একটি ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। আমরা পরিস্থিতি দেখতে এখানে এসেছি। কত মানুষ পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছে তা বেদনাদায়ক। আমরা সাহায্য করব। আমি নার্স, প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানাই। এটি নিশ্চিতভাবে জাতীয় বিপর্যয়। এবার দেখা যাক সরকার কী বলে।' এরপরেই রাহুল বলেন, 'আমি জানি বাবাকে হারানোর কষ্ট কেমন ছিল। আমার বাবাকে হারানোর কথা মনে আছে। এখানে শুধু বাবা নয়, কেউ বাবাকে হারিয়েছেন, কেউ মা, ভাই, বোন গোটা পরিবারকে হারিয়েছে। আমি জানি আমার কষ্টের থেকে এটি কয়েকগুণ বেশি। আমার জন্য দিনটি খুবই কঠিন।'
ওয়েনাডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অন্য দিকে, ওয়েনাডে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে নামানো হয়েছে। ভূমিধসে বিধ্বস্ত এলাকায় অল্প সময়ে আস্ত একটা ব্রিজ বানিয়ে রেকর্ড গড়লেন জওয়ানরা। বৃহস্পতিবার, মাত্র ১৬ ঘণ্টায় বেইলি সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করেছেন ভারতীয় জওয়ানরা। ওয়েনাড থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে সেনা জওয়ানদের 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিতেও দেখা যায়।