Buxa Tiger Reserve: এবার সিকিমে (Sikkim) বন দফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) উপস্থিতি। শুধু তাই নয়, এবার প্রথমবার বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া গেল প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে (Pangolakha Wildlife Sanctuary)। এবারে উচ্ছ্বাস খানিকটা বেশি সিকিমের বন ও পরিবেশ দফতরের। কারণ সমীক্ষার পর এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার থাকতে পারে বলে প্রথম তথ্য সামনে নিয়ে এসেছিল বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি (BNHS)। কারণ পর্বতের শিখরে হাই অল্টিটিউড আর কম তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে থাকতে পারে তা প্রমাণ হল।
তাদের সমীক্ষা সফল হওয়ায় খুশি BNHS-ও। সংস্থার তরফে বিষয়টিকে অত্যন্ত আনন্দের খবর বলে বর্ণনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই প্রথম প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে বিগ ক্যাটের উপস্থিতি এই প্রথম নজরে এল। যা পরিবেশ ও বাস্তুর জন্য একটা বড় খবর।
এর আগেও সিকিম পাহাড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তবে তা অনেকটা নীচে। এবার যেখানে ক্যামেরায় ধরা পড়ল বাঘের ছবি, তার উচ্চতা ৩,৬৪০ মিটার বা ১১,৯৪২ ফুট। যার জন্যই বিস্ময় এবং আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি ইকোলজিস্ট ও বনকর্তাদের মধ্যে।
সিকিমের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য প্যাঙ্গোলাখার আয়তন ১২৮ বর্গকিলোমিটার। যেহেতু অভয়ারণ্যের পাশে ভুটান ও পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তাই এখানে বাঘের অস্তিত্ব থাকার প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল। পরে মাটি, অন্যান্য জীবজন্তুর উপস্থিতির সমীক্ষা চালায় বিএনএইচএস। এতেই মেলে সাফল্য। এরপর পরিবেশমন্ত্রকের ন্যাশনাল মিশন অন হিমালয়ান স্টাডিজ আরও কয়েকটি অভয়ারণ্যে বিএনএইচএস-কে দিয়ে এমন সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গ্লোবাল টাইগার ফোরামের সহযোগিতায় বসানো হবে ট্র্যাপ ক্যামেরা।
গত বছর খানেক ধরেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে বাঘের মানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হদিশ মিলেছে। যাতে ক্রমশ ফিকে হতে থাকা বাঘের অস্তিস্ত্বের মিথ ফের চাঙ্গা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের বক্সার বাঘবনেও একাধিক বাঘের হদিশ মিলেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে বন দফতরের কর্তাদের। কদিন আগেই প্রায় ৪ বছর বয়সী একটি বাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরায় পরপর দু’বার ধরা পড়েছে। সম্প্রতি পূর্ণবয়স্ক আরেকটি বাঘের পায়ের ছাপ নজরে এসেছে বলে খবর। বক্সার জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় বড় আকারের সেই বাঘটি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা প্রায় সুনিশ্চিত। রাজ্য বন দফতরের পিসিসিএফ (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিদিনই বাঘের পায়ের ছাপ বক্সার জঙ্গলে পাওয়া যাচ্ছে। এটা আশার কথা।