আগামী সপ্তাহে আরও একটি মন্দিরের শিলান্যাস করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভার্চুয়ার শিলান্যাস হতে চলেছে দ্বাদশ জ্যোতিলিঙ্গের প্রথম স্মরণীয় বাবা সোমনাথের (Somnath Temple) অর্ধশক্তি দেবী পার্বতীর মন্দিরের। সেই মন্দিরেরই শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমনাথ মন্দির চত্বরে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাদা মার্বেল দিয়ে দেবী ভগবতী শক্তি পরাম্বা পার্বতীর মন্দির নির্মাণের কাজ ৯ আগস্ট শুরু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সোমনাথ মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান।
আরব সাগরে (Arabian Sea) একদম তীরেই অবস্থিত সোমনাথ মন্দির। এখান থেকে সাগরের দৃশ্য প্রকৃতার্থেই অত্যন্ত সুন্দর। আর সেই দৃশ্যকে পর্যকট, ভক্ত ও স্থানীয়দের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি হাঁটার রাস্তাও তৈরি করেছে সরকার, যার মাধ্যমে মন্দিরের ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং সাগরের নয়নাভিরাম দৃশ্য একইসঙ্গে উপভোগ করা যাবে।
১৯৫০ সালে শুরু হয় পুনর্নির্মাণের কাজ
এক-দু'বার নয়, মোট ১৭ বার ধ্বংসের মুখোমুখি হওয়ার পর স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলের নেতৃত্বে ১৯৫০ সালের ৮ মে শুরু হয় সোমনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণের কাজ। দেশেরে প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৫১ সালের ১১মে এই মন্দিরে জ্যোতিলিঙ্গের স্থাপনা করেন এবং ১৯৫৫ সালের পয়লা ডিসেম্বর তা দেশের হাতে তুলে দেন। যদিও মন্দিরের কাজ শেষ হয় ১৯৬২ সালে।
সোমনাথ মন্দির নয়া রূপ পেলেও ঐতিহাসিক পার্বতী মন্দির আজও ধ্বংসস্তূপ হিসেবেই রয়েছে। মন্দির ট্রাস্ট জানাচ্ছে, ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভের মতো সেটিকে একই অবস্থায় রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্বতী মন্দিরের বিগ্রহটি বর্তমানে সোমনাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে রয়েছে। সোমনাথ মন্দিরের যজ্ঞশালার কাছে পৌরাণিত স্থানেই দেবীর মন্দির নির্মাণ হবে।
ওয়াক ওয়ে থেকে দেখা যাবে বাণ স্তম্ভ
মন্দির চত্বরে যে ওয়াক ওয়ে বা হাঁটার পথ তৈরি হয়েছে তা মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের (Marine Drive Mumbai) মতো। সেখান থেকে পর্যটকেরা মন্দিরের বাণ স্তম্ভটি দেখতে পাবেন। প্রসঙ্গত, মন্দিরের দক্ষিণে সমুদ্রের তীরে রয়েছে এই বাণ স্থম্ভ।