Navapur Railway Station, Indian Railways: ভারতীয় রেলওয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সরকারি চাকরি প্রদানকারী সরকারি সংস্থা। ভারতীয় রেলের সঙ্গে এমন অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। আজ এমন একটি রেলস্টেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেটি দুটি রাজ্য মিলিয়ে তৈরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোথায় নির্মিত হয়েছে এই অনন্য রেলস্টেশন।
এই অনন্য রেলস্টেশনের নাম নবাপুর রেলওয়ে স্টেশন। এটি মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার জেলায় অবস্থিত। এই স্টেশনের অর্ধেকটি গুজরাতের তাপি জেলায় এবং বাকি অংশ মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার জেলায় নির্মিত। এই স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পশ্চিম রেলওয়ে জোনের অধীনে। এই স্টেশনের সব কিছুই দুটি রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত। স্টেশনের মাঝখানে একটি রেখা টানা হয়েছে, যার একপাশে মহারাষ্ট্র এবং অন্যদিকে গুজরাত।
আরও পড়ুন: বাংলার এই স্টেশনেও থামবে এই ৬টি ট্রেন; তালিকা
স্টেশন মহারাষ্ট্র-গুজরাতে বিভক্ত:
নবাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও একটি বেঞ্চ রয়েছে, যার অর্ধেক গুজরাতে এবং অর্ধেক মহারাষ্ট্রে পড়ে৷ রং দিয়ে বেঞ্চের দুই পাশে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত স্পষ্ট লেখা রয়েছে। এই স্টেশনে আসা অনেকেই এই বেঞ্চে বসে ছবি তোলেন। এর পাশাপাশি, স্টেশনে একটি সেলফি পয়েন্টও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে লোকেরা এসে তাদের ছবি তোলেন।
স্টেশনে ৪টি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে:
এই অনন্য রেলস্টেশনের মোট দৈর্ঘ্য ৮০০ মিটার। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার গুজরাতে এবং বাকি ৩০০ মিটার মহারাষ্ট্রে আসে। মজার ব্যাপার হল নবাপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার মহারাষ্ট্রে (সীমান্তে) আর স্টেশন মাস্টার বসেন গুজরাতে।
এই স্টেশনে ঘোষণা হয় ৪ ভাষায়:
এই স্টেশনে (নবাপুর রেলওয়ে স্টেশন), ৪টি ভাষায় ঘোষণা করা হয়। এখানে হিন্দি, ইংরেজি, মরাঠি এবং গুজরাতি ভাষায় যাত্রীদের জন্য ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, রেলস্টেশনে স্থাপিত তথ্য বোর্ডও এই চারটি ভাষায় লেখা হয়েছে, যাতে যাত্রীদের কোনও ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়।
স্টেশনের আকর্ষণীয় ইতিহাস:
নবাপুর রেলওয়ে স্টেশন কীভাবে দুই রাজ্যের মধ্যে ভাগ হয়ে গেল তার পিছনেও রয়েছে একটি মজার গল্প। আসলে এই স্টেশনটি তৈরি হয়েছিল মহারাষ্ট্র ও গুজরাত ভাগের আগে। কিন্তু ১৯৬১ সালের ১ মে মুম্বাই প্রদেশকে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত নামে দুটি রাজ্যে ভাগ করা হয়। এই বিভাজনের অধীনে, নবাপুর রেলওয়ে স্টেশনটিও দুই রাজ্যের মধ্যে অর্ধেক ভাগ করা হয়েছিল। সেই থেকে এই রেলস্টেশন হয়ে উঠেছে এক অনন্য পরিচয়।