ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার সীমান্ত এলাকা তেকালগুডেম গ্রামে সিআরপিএফ ক্যাম্পে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে নকশালরা। এই হামলায় ৩ সেনা শহিদ হয়েছেন। ১৪ জওয়ান আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার খবর পেয়ে বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
তথ্য অনুসারে, নকশাল তৎপরতা দমন করতে এবং এলাকার মানুষকে সহায়তা দিতে আজ ৩০ জানুয়ারী সুকমা থানা জাগারগুন্ডা এলাকায় একটি নিরাপত্তা শিবির তৈরি করা হয়েছিল। শিবিরের পরে, সিআরপিএফ-এর কোবরা সৈন্যরা জোনাগুদা-আলিগুদা এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় মাওবাদীরা সেনাদের ওপর গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনীও মাওবাদীদের গুলির যোগ্য জবাব দেয় এবং পাল্টা জবাব দেয়। নিরাপত্তা বাহিনীর চাপ বাড়তে দেখে মাওবাদীরা জঙ্গলের আড়ালে পালিয়ে যায়। তবে এই এনকাউন্টারে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ সেনা শহীদ হয়েছেন। এবং ১৪ সেনা আহত হয়েছেন।
জখম সেনাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য রায়পুরে পাঠানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার আগেও নকশাল হামলার ঘটনা ঘটেছিল। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার আগে ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলা হয়। ১৩ ডিসেম্বর নকশালরা নারায়ণপুরে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এই হামলায় এক জওয়ান শহীদ হয়েছেন, অপরজন আহত হয়েছেন।
বিষ্ণুদেব সাঁই যখন রাজধানীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন এমন সময়ে নারায়ণপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নারায়ণপুরের আমদাই খনিতে আইইডি বসিয়েছিল নকশালরা। এতে সিএএফ ৯ম বিএন ব্যাটালিয়নের সেনারা আহত হন। এই হামলায় সিএএফ কনস্টেবল কমলেশ সাহু শহীদ হন, এবং কনস্টেবল বিনয় কুমার সাহু আহত হন।