তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তুত নরেন্দ্র মোদী। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে মন্ত্রিসভার সঙ্গে শপথ নেবেন তিনি। বিজেপি এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে বিহারের জেডিইউ, এবং লোকজনশক্তি পার্টির উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে এনডিএ-কে। বিহারের জিতন রাম মাঞ্জির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ) এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মার্চও এনডিএ-র শরিক। তাদের তরফেও মন্ত্রক পাওয়ার দাবি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাই বিহারে বাতে এবার যেতে পারে একাধিক মন্ত্রক।
বিহার থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তা নিয়ে ফর্মুলা তৈরি করেছেন স্থানীয় এনডিএ নেতারা। সূত্রের খবর, বিহার সরকারে যে ফর্মুলার ভিত্তিতে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে, সেই সূত্র ধরেই কেন্দ্রে মন্ত্রী করা হবে। অর্থাৎ বিহারে যত বিজেপি সাংসদ মন্ত্রী হবেন, তত সংখ্যক JDU সাংসদও মন্ত্রী হবেন। জাত সমীকরণ অনুযায়ী, JDU এবং BJP মন্ত্রী পদের জন্য সাংসদদের নির্বাচন করবে। যেমন, বিজেপি কোটা থেকে যাদব বর্ণের একজন সাংসদকে মন্ত্রী করা হলে জেডিইউ থেকে কোনও যাদব সাংসদ মন্ত্রী হবেন না। এলজেপিও HAM ১টি করে মন্ত্রী পদ পাবে। বিহারে মোট ৪০ আসনের মধ্যে ৩০টি জিতেছে এনডিএ। এর মধ্যে রয়েছে বিজেপির ১২, জেডিইউর ১২, এলজেপি (রামবিলাস) ৫টি এবং HAM-এর একটি আসন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রীসভায় বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের প্রতিনিধি বেশি থাকতে পারে। সরকারে কমতে পারে উত্তরপ্রদেশের প্রতিনিধি। কারণ সেখানে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র ২৯ আসনই সেখান থেকে পেয়েছে।
২০১৯ সালের ভোটের পর নরেন্দ্র মোদী যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন সেখানে ৭২ জন সদস্য ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ থেকেই ছিলেন ১৩ জন। সেই সব মন্ত্রীদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি, মহেন্দ্র নাথ পান্ডে, সঞ্জীব বলিয়ান, কৌশল কিশোরের মতো শক্তিশালী নেতারা এবার হেরে গিয়েছেন।
সূত্রের খবর, জনতা দল (ইউনাইটেড) এনডিএ সরকারে রেল, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রক দাবি করেছে ৷ জেডিইউ-এর রাজ্যসভার সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন সঞ্জয় কুমার ঝা। বুধবার এনডিএ নেতাদের বৈঠকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে ছিলেন। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুর ঠাকুরের ছেলে রামনাথ ঠাকুরও এনডিএ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। হরিবংশ জেডিইউ-এর চার রাজ্যসভার সাংসদের মধ্যে একজন এবং যেহেতু তিনি রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, তাই তিনি মন্ত্রী পদের দাবিদার নন। কেন্দ্রে মন্ত্রী করা যেতে পারে এমন জেডিইউ সাংসদের মধ্যে রয়েছেন রাজীব রঞ্জন 'লালন' সিং এবং কৌশলেন্দ্র কুমার। জিতন রাম মাঞ্জি গয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিও মোদী সরকারে জায়গা পেতে পারেন।
রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান মোদী 3.0 সরকারে মন্ত্রী হতে পারেন। চিরাগ যদিও জানিয়েছেন, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি তাঁর দলের নিঃশর্ত সমর্থন রয়েছে।