Budget Protest: বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্যই বেশি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। দাবি INDIA ব্লকের দলগুলির। কারণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, এই দুই রাজ্যে NDA-র জোট শরিকরা ক্ষমতায় রয়েছে। আর সেই কারণেই এই বাজেটকে 'বৈষম্যমূলক' বলেও দাবি করছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধীরা।
বুধবার সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়া ব্লক। প্রতিবাদে সামিল হবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও।
গতকাল, মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেন। তারপরেই বিরোধীরা এই বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেন। মঙ্গলবারেই এই নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলের নেতারা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে যান। সেখানে বৈঠকে অংশ নেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং কেসি ভেনুগোপাল, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এসপি) প্রধান শরদ পাওয়ার, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত এবং অরবিন্দ সাওয়ান্ত, ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু এবং তিরুচি শিবা, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ মহুয়া মাজি, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং এবং রাঘব চাড্ডা।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদের সিঁড়ির কাছে বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ শুরু করবেন।
মঙ্গলবারের বৈঠকের পরে কেসি বেনুগোপাল বলেন, 'এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটের মাধ্যমে বাজেটের ধারণাটি ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ওঁরা বেশিরভাগ রাজ্যের সঙ্গেই সম্পূর্ণ বৈষম্য করেছে। তাই ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠকে আমাদের সবারই এটাই মনে হয়েছে যে এর প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।'
অনেক বিরোধী নেতাই বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিহার এবং অন্ধ্র প্রদেশের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানী অমরাবতীর উন্নয়নের জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সড়ক সংযোগ প্রকল্পের জন্য বিহারে ২৬,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী এটিকে 'কুরসি বাঁচাও' বাজেট বলেছেন। রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'মিত্রদের সন্তুষ্ট করুন: অন্যান্য রাজ্যের খরচে বন্ধুদের সন্তুষ্ট করার ফাঁকা প্রতিশ্রুতি।'
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'আমাদের রাজ্য বাজেটে একটি চম্বু (খালি পাত্র) পেয়েছে।'
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন বলেছেন যে অর্থমন্ত্রী সীতারামন বাজেটে অন্য সমস্ত রাজ্যের কথা ভুলে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার এই বাজেটের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিধানসভায় তিনি বলেন, 'বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলা কারও দয়া চায় না। কিন্তু তার সম্মান বিঘ্নিত হলে বাংলার মানুষ কিন্তু গর্জন করবে, ছেড়ে কথা বলবে না।'