scorecardresearch
 

Bihar Political Crisis: রবিবারই বিহারে এনডিএ সরকার? বিকেলে শপথ নিতে পারেন নীতীশ

নীতীশ কুমারের হাত ধরে বিহারে ফের পালাবদল ঘটতে চলেছে। রবিবারই বিহারে নতুন সরকার তৈরি হতে চলেছে। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৪টেয় নবম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন নীতীশ কুমার। আরেজডি-র সঙ্গে জোট ভেঙে ফের এনডিএ-তে শামিল হতে চলেছেন নীতীশ। এমনই জল্পনা আরও জোরদার হল। 

Advertisement
হাইলাইটস
  • নীতীশ কুমারের হাত ধরে বিহারে ফের পালাবদল ঘটতে চলেছে।
  • রবিবার বিকেল ৪টেয় নবম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন নীতীশ কুমার।
  • ফের এনডিএ-তে শামিল হতে চলেছেন নীতীশ।

নীতীশ কুমারের হাত ধরে বিহারে ফের পালাবদল ঘটতে চলেছে। রবিবারই বিহারে নতুন সরকার তৈরি হতে চলেছে। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল ৪টেয় নবম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন নীতীশ কুমার। আরেজডি-র সঙ্গে জোট ভেঙে ফের এনডিএ-তে শামিল হতে চলেছেন নীতীশ। এমনই জল্পনা আরও জোরদার হল। 

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১০টায় জেডিইউ-র পরিষদীয় দলের বৈঠক রয়েছে। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসবে এনডিএ-র পরিষদীয় দল। বৈঠক শেষে রাজভবনে যাবেন নীতীশ। সেখানে বর্তমান জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। এর পরেই বিকেল ৪টেয় এনডিএ-র হাত ধরে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন নীতীশ। 

শনিবার দিনভর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে বিহার। পটনায় বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রবিবার পটনা যেতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। নীতীশের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন তিনি। 

আরও পড়ুন

এর আগে, ৮ বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। প্রথম বার ২০০০ সালের ৩ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এর পর ২০০৫ সালের ২৪ নভেম্বর, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর এবং ২০২২ সালের ৯ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন নীতীশ। 


ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ফের বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে নতুন সরকার গড়তে পারেন নীতীশ। সেই সরকারে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আগামী ২৮ জানুয়ারি শপথ নিতে পারেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিজেপির সুশীল মোদী। অন্য দিকে, বিহারে পাল্টা সমীকরণ গড়তে তৎপর হয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবও। সরকারে থাকতে জিতন রাম মানঝিক পুত্রকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আরজেডি প্রধান। শুক্রবার সূত্র মারফত এই খবর জানা গিয়েছে। বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। তাই ১২২ জন বিধায়কের সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে লালু শিবিরও। 

Advertisement

সম্প্রতি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। যাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নীতীশ। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাও করেছেন নীতীশ। এর পরই কর্পূরী ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে এক সভায় নীতীশ বলেছেন যে, তাঁর দল স্বর্গীয় নেতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে। পরিবারের কাউকে দলে পদ দেওয়া হয়নি। নীতীশের এই বক্তব্য বিহারে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। কেননা, আরজেডির সঙ্গে জোটে রয়েছে নীতীশের দল। আর আরজেডিতে, লালুর পুত্রই গুরুদায়িত্বে রয়েছে। তাই নীতীশের এই বক্তব্য আরজেডির উদ্দেশে কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নীতীশের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর এক্স হ্যান্ডলে লালু-কন্যা লিখেছেন, 'অনেকেই নিজেদের ত্রুটিগুলি দেখতে পান না। কিন্তু নির্বোধের মতো অন্যদের দিকে কাদা ছোড়ে।' 


এর আগে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, এনডিএ-তে ফেরার প্রস্তাব যদি দেয় জেডিইউ, তা হলে তা বিবেচনা করা হবে। শাহের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই নীতীশকে ঘিরে জোর জল্পনা দানা বেঁধেছে। অতীতে এনডিএ-র শরিক ছিল জেডিইউ। ২০২২ সালে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ ত্যাগ করেন নীতীশ। হাত মেলান লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে। বিহারে তৈরি হয় জোট সরকার। তার ঠিক প্রায় ২ বছরের মাথায় আবার নীতীশকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হল।

Advertisement