মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকের মাঝপথেই বেরিয়ে আসেন। তিনি বেরিয়ে এসে অভিযোগ করেন, '৫ মিনিট বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।' যদিও তাঁর দাবি সঠিক নয় বলে পাল্টা বিবৃতি দিল নীতি আয়োগ। নীতি আয়োগের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা ঠিক নয়। তাঁর মাইক বন্ধ করা হয়নি। এ নিয়ে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও। মমতার দাবিকে মিথ্য়া বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
নীতি আয়োগের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে?
নীতি আয়োগের ৯তম গভর্নিং কাউন্সিল মিটিং চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মাইক্রোফোনটি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি সঠিক নয়। ঘড়িতে কেবল দেখানো হয়েছিল যে তাঁর কথা বলার নির্ধারিত সময় শেষ। এমনকী কোনও বেলও বাজানো হয়নি। বর্ণানুক্রমিকভাবে, লাঞ্চের পর তাঁর পালা আসত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সরকারী অনুরোধে তাঁকে ৭তম স্পিকার হিসাবে স্থান দেওয়া হয়েছিল। কারণ তাঁর তাড়াতাড়ি ফেরার তাড়া ছিল।
কী বললেন নির্মলা সীতারমন?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, "সিএম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আমরা সবাই তাঁর কথা শুনেছি। প্রতিটি মুখ্যমন্ত্রীকে বরাদ্দ সময় দেওয়া হয়েছিল এবং সেটি স্ক্রিনে আগে থেকেই প্রদর্শিতও হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন,"তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং দুর্ভাগ্যজনক যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন মাইক বন্ধ করা হয়েছে। যা সত্য নয়।" তিনি আরও বলেন মিথ্যা কথা ব্যাখ্যা না করে সত্যি কথা বলা উচিত।"
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেরিয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। মমতা অভিযোগ করেন, 'চন্দ্রবাবু নাইডু, অসম, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী, সবাইকে বলতে সুযোগ দেওয়া হল। আমাকে ৫ মিনিট বলার পরেই থামিয়ে দেওয়া হল।'
তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে একমাত্র তিনিই নীতি আয়োগের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে 'রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বাজেট' নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। মমতা প্রশ্ন করেন, 'বিরোধী দলগুলির প্রতি বৈষম্য করা হল কেন?' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হয় নীতি আয়োগকে আর্থিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা দেওয়া হোক, নয় তো আগের মতো প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে আনা হোক।