NITI Aayog Mamata: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছিল? জবাব এল নীতি আয়োগের

NITI Aayog Mamata: নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের ৯তম বৈঠকের পরে, নীতি আয়োগের সিইও বি.ভি.আর. সুব্রামানিয়াম সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেছিলেন যে ১০টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, বিহার, দিল্লি, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেননি। এর পাশাপাশি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পরে, নীতি আয়োগও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করার অভিযোগের জবাবে, নীতি আয়োগ বলেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মধ্যাহ্নভোজের আগে সময়ের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সেই সময় তিনি (মমতা) তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন। সভায় সবাইকে ৭ মিনিট সময় দেওয়া হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সময় সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাত্র। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আগেই শুনেছি এবং নোট করেছি। মমতা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর মুখ্যসচিব রুমে অপেক্ষা করছিলেন।

বৈঠকের আলোচ্যসূচি কী ছিল? 
নীতি আয়োগের সিইও বলেছেন যে বৈঠকের আলোচ্যসূচি ছিল উন্নত ভারত। জীবনকে সহজ করে তোলা, পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং জমি সংক্রান্ত নীতি আয়োগের ভিশন ডকুমেন্টেড রয়েছে। যেখানে এমপি, ছত্তিশগড়, অসম, বিহার ভিশন ডকুমেন্ট তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে। 

'দ্রুত বয়স্ক জনসংখ্যার জন্য পরিকল্পনা করা প্রয়োজন'
NITI আয়োগ বলেছে যে রাজ্যগুলির এই উন্নয়নের উপর নজর রাখার জন্য ভারত সরকারের কোনও ব্যবস্থা নেই। ২০৪৭ সালের পরে দ্রুত বাড়তে থাকা জনসংখ্যার জন্য এখনই পরিকল্পনা করা দরকার। কিছু রাজ্য এই সীমা অতিক্রম করেছে।জনসংখ্যা পরিচালনার বিষয়ে চিন্তা করা এমন একটি বিষয় যা আমরা ২০ বছর আগে কখনও ভাবিনি। প্রধানমন্ত্রী শূন্য দারিদ্র্যের কথা বলেছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য শূন্য দারিদ্র্য,(Zeero Poverty) এমতাবস্থায় গ্রামগুলোকে শূন্য দারিদ্র্য ঘোষণা করতে পারব কি না, সেটাই প্রশ্ন। 

'চন্দ্রবাবু নাইডু ২০ মিনিট পেলেও আমি পেয়েছি মাত্র ৫ মিনিট'
নীতি আয়োগের বক্তব্যের আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় বলেছিলেন যে চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠকে কথা বলার জন্য ২০ মিনিট সময় পেয়েছিলেন। অসম, অরুণাচল, ছত্তিশগড় ও গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীরাও ১৫-২০ মিনিট কথা বলেছেন। কিন্তু আমাকে মাত্র ৫ মিনিট কথা বলতে দেওয়া হয়েছিল। লোকজন বেল বাজিয়ে আমাকে থামাতে লাগল, আমি বললাম ঠিক আছে তুমি বাংলার সমস্য়া শুনতে চাও না এবং আমি মিটিং বয়কট করে চলে গেলাম।