পশ্চিমবঙ্গে উপকূলীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তাদের দাবি, উপকূলে নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে অনুমোদিত ১৮টি নজরদারি চালানোর 'বোট' রয়েছে। এর মধ্যে একটিও বর্তমানে চালু নেই বলে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। মঙ্গলবার লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
প্রশ্নোত্তরের সময় একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি উপকূলীয় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কেন্দ্রের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতির উপর হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "এটি দুর্ভাগ্যজনক যে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া ১৮টি নৌকোর একটিও চালু নেই। তে কেন্দ্রের সহায়তা তো আছেই, তবে উপকূলীয় সুরক্ষার দায়িত্ব রাজ্যগুলিকেও পালন করতে হবে। উপকূলরেখা বরাবর দক্ষ পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে।
এই নৌকোগুলি নিষ্ক্রিয় থাকায় অনুপ্রবেশকারী ও পাচারকারীরা অবাধে ঢুকে পড়ছে। কেন্দ্রের বহু-স্তরীয় উপকূলীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সংবেদনশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, "মৎস্যজীবীরা উপকূলীয় সতর্কতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যেহেতু মাছ ধরা তাদের জীবিকার প্রাথমিক উৎস, তাই বিধিনিষেধ আরোপ করা সম্ভব নয়। তাই, তারা নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে এবং কোনও বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়।"
আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে মাছ ধরার জাহাজে ট্রান্সপন্ডারের বাধ্যতামূলক ইনস্টলেশন সহ নজরদারি জোরদার করার জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের রূপরেখাও দিয়েছেন। ২০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের নৌযানগুলিকে স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান।"
উপরন্তু, অনুমতি পাওয়া মৎস্যজীবীরা সীমানা অতিক্রম করলে, তাদের চিহ্নিত করার জন্য মাছ ধরার নৌকাগুলির রঙিন কোডিং চালু করা হয়েছে। মাদক পাচার নিয়ে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ৪০০ শতাংশ বেড়েছে। আগের দশকের থেকে এই দশকে ২৫৭ কিলোগ্রাম থেকে ১২,৬১৭ কিলোগ্রাম হয়েছে।
অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং বিদেশী মাছ ধরার কার্যক্রম রোধে চেষ্টারও উল্লেখ করেছেন। তথ্য দিয়ে বলেন, "গত কয়েক বছরে গ্রেফতার হওয়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৯।