scorecardresearch
 

Adani Group OCCRP: ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ারে বড় কারচুপি? ফের বিস্ফোরক রিপোর্ট আদানির বিরুদ্ধে

Adani Group OCCRP Report: OCCRP রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে,মরিশাসে থাকা তহবিলের মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীতে অস্বচ্ছভাবে লেনদেন করা হয়েছে। মরিশাসের এই স্টকগুলি ব্যবহার করে আদানি গ্রুপের শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। রিপোর্টে দাবি, মরিশাসের এই তহবিলগুলি আদানি পরিবারের সঙ্গেই যুক্ত বিভিন্ন বিজনেস পার্টনারের। এভাবে নিজেরাই নিজেদের শেয়ার কিনে শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে। এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টেও এই একই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। 

Advertisement
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ
হাইলাইটস
  • হিন্ডেনবার্গের পর ফের নয়া অভিযোগের মুখে আদানি গোষ্ঠী।
  • বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ তুলল অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (OCCRP)।
  • OCCRP রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে,মরিশাসে থাকা তহবিলের মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীতে অস্বচ্ছভাবে লেনদেন করা হয়েছে।

Adani Group OCCRP Report: হিন্ডেনবার্গের পর ফের নয়া অভিযোগের মুখে আদানি গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ তুলল অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (OCCRP)।

OCCRP রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে,মরিশাসে থাকা তহবিলের মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীতে অস্বচ্ছভাবে লেনদেন করা হয়েছে। মরিশাসের এই স্টকগুলি ব্যবহার করে আদানি গ্রুপের শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। রিপোর্টে দাবি, মরিশাসের এই তহবিলগুলি আদানি পরিবারের সঙ্গেই যুক্ত বিভিন্ন বিজনেস পার্টনারের। এভাবে নিজেরাই নিজেদের শেয়ার কিনে শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে। 

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চও তাদের রিপোর্টে এই একই ধরণের দাবি তুলেছিল।

আরও পড়ুন

OCCRP-এর রিপোর্ট এবং আদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া:
OCCRP-র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ মরিশাস ফান্ডের মাধ্যমে তাদের স্টকে বিনিয়োগ করেছে। তাদের দাবি, এই বিদেশি ফান্ডগুলি আদতে আদানি পরিবারের ব্যবসায়িক পার্টনারদের সঙ্গে জড়িত।

OCCRP কী?
OCCRP হল হল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিকদের একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এই গ্রুপের মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন বড় দুর্নীতি ফাঁস করা। এটি জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন (OSF) এবং রকফেলার ব্রাদার্স ফান্ডের মতো সংস্থার দ্বারা ফান্ডেড। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণী, এই ধনকুবের জর্জ সোরোসই এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের সপক্ষে সরব হয়েছিলেন। গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আদানি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া
আদানি গ্রুপ অবিলম্বে OCCRP-এর অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা রিপোর্টটিকে জর্জ সোরোসের স্বার্থে চালিত হিসাবে উল্লেখ করেছে। আদানি গোষ্ঠীর মতে, এর আগের 'ভিত্তিহীন' হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতেই এই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, এই রিপোর্টের 'টাইমিং'ও সন্দেহজনক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

'আমরা এই অভিযোগগুলি প্রত্যাখ্যান করছি। এই সংবাদ প্রতিবেদনগুলি বিদেশি মিডিয়ার একটি অংশ দ্বারা সমর্থিত। জর্জ সরোসের টাকায় চালিত। সম্ভবত তাঁর স্বার্থ মাথায় রেখে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা। আসলে, এটি প্রত্যাশিতই ছিল,' জানিয়েছে আদানি গ্রুপ।

Advertisement
আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের অবস্থা
আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের অবস্থা

চাপে আদানি গ্রুপের শেয়ার
প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শেয়ারে। গোষ্ঠীর ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার ৩ শতাংশ কমেছে। আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি উইলমার সহ আদানি গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারও ১% থেকে ৫% হ্রাস পেয়েছে।

হিন্ডেনবার্গ 2.0?
মার্কিন ভিত্তিক শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে এভাবেই অভিযোগ তুলেছিল। তার আট মাস পর OCCRP-র এই রিপোর্ট। অফশোর সত্ত্বাকে কাজে লাগিয়ে এভাবে কর ফাঁকি, শেয়ারের দামে কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছিল। আদানি গোষ্ঠী যদিও এই দাবি খারিজ করেছিল।

এক দশকের পুরনো তদন্তের ভিত্তিতে রিপোর্ট
আদানি গ্রুপের ব্যাখ্যা, OCCRP-র এই দাবিগুলি প্রায় ১০ বছর আগের রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (ডিআরআই) এক তদন্তের ভিত্তিতে করা হচ্ছে। সেই তদন্তের শেষে জানা যায়, আইনি পন্থাতেই সমস্ত লেনদেন করেছে আদানি গোষ্ঠী। ২০২৩ সালের মার্চে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের মাধ্যমে সেই বিষয়ের সমাধানও করা হয়েছে, বক্তব্য আদানি গোষ্ঠীর।

'তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এই অভিযোগগুলির কোনও প্রাসঙ্গিকতা বা ভিত্তি নেই, ' যোগ করেছে আদানি গোষ্ঠী।

সেবি তদন্তের কথা উল্লেখ করে আদানি গ্রুপ জানিয়েছে, রিপোর্টে উল্লিখিত বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা (FPI) ইতিমধ্যেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার(SEBI) তদন্তাধীন। ন্যূনতম পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং (MPS)-এর নীতি লঙ্ঘন করার বা স্টকের দামে কারচুপি করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এমনটাই জানিয়েছে।

সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা, বলছে আদানি গ্রুপ
আদানি গোষ্ঠীর দাবি, তাদের খ্যাতি নষ্ট করার এবং স্টকের দাম কমানোই এই রিপোর্টের মূল উদ্দেশ্য। শর্ট সেলারদের মুনাফা করানোই এর লক্ষ্য।

আদানি গ্রুপের ভবিষ্যৎ আউটলুক 
এহেন অভিযোগ এবং বাজারের অস্থিরতা সত্ত্বেও, আদানি গ্রুপ সমস্ত নিয়ম মেনে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাবে, বলা হয়েছে বিবৃতিতে। 

আদানি গোষ্ঠী বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমাদের আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা আছে। কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের মান সম্পর্কে আমরা আস্থাশীল। এই সংবাদ প্রতিবেদনের সময় সন্দেহজনক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ। আমরা এই প্রতিবেদনগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করি।'

Advertisement