২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রিপল ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে 'ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম'কে দায়ী করে এতে কারচুপির সম্ভাবনা প্রকাশ করেছিল। এই বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। এরই মধ্যে দুর্ঘটনার বিষয়ে একটি বড় তথ্য পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, এপ্রিলে রেলওয়ে বোর্ড সমস্ত জোনাল হেডকে সতর্ক করেছিল। ৫টি ঘটনাকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করে রেলওয়ে বোর্ড জোনাল চিফ অফিসারদের শর্টকাট পদ্ধতি এড়াতে বলেছিল।
রেলওয়ে বোর্ড এপ্রিলে নিজেই তার সিগন্যালিং কর্মীদের যথাযথ পরীক্ষা ছাড়া শর্টকাট ব্যবহার করা থেকে বিরত করেছিল। শুধু তাই নয়, ৩ এপ্রিল লেখা একটি চিঠিতে রেলওয়ে বোর্ড ৫টি ঘটনার উল্লেখ করেছে, যেখানে শর্টকাট পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে ঘটনা ঘটেছে।
রেলওয়ে বোর্ড বলেছে যে, সিগন্যালিং সিস্টেম ঠিক আছে কী না, তা দেখতে প্রতি সপ্তাহে বিভাগীয় ও সদর দপ্তরে নিরাপত্তা সভায় এসব দিক পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ভারতীয় রেলের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলের সমন্বয়ের অভাবকে দুষেছিলেন। কংগ্রেস এই দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ইস্তফার দাবি তুলেছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘অব্যবস্থা’ না হলে অনেকগুলো প্রাণ বেঁচে যেত। প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানিয়েছিলেন, দোষীদের শাস্তি হবে। তবে রেলমন্ত্রীর ইস্তফা নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় সরকার।