তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদি লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘিতে পশুর চর্বি মেশানো হয় বলে এক রিপোর্ট ঘিরে তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই আবহে এবার দেশের আরও এক জনপ্রিয় তীর্থস্থান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদে ঘি-এর ব্যবহার নিয়ে নড়েচড়ে বসছে ওড়িশা সরকার। জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদে যে ঘি ব্যবহার করা হয়, তার গুণগত মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার।
এই প্রসঙ্গে পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর সোয়াইন জানিয়েছেন, যদিও এমন কোনও অভিযোগ নেই। তবুও মন্দিরের প্রসাদে যে ঘিয়ের ব্যবহার করা হয়, তার গুণগত মান যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পুরীর মন্দিরে ঘি সরবরাহ করে রাজ্যের সংস্থা ওড়িশা মিল্ক ফেডারেশন। জগন্নাথ সোয়াইন মহাপাত্র নামে মন্দিরের এক সেবায়েত দাবি করেছেন যে, মন্দির চত্বরে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য আগে ভেজাল ঘি ব্যবহার করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, 'সেটা এখন বন্ধ করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ যে, ঘিয়ের গুণমান যাচাই করা হোক।'
পুরীর জগন্নাথ মন্দির দেশের অন্যতম বড় মন্দির। রোজ লাখ লাখ ভক্ত সমাগম হয় এই মন্দিরে। এবার সেই মন্দিরের প্রসাদে ঘিয়ের গুণমান যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তিরুপতি মন্দিরে বিতর্কের আবহে যা উল্লেখযোগ্য।
প্রসঙ্গত, তিরুপতির লাড্ডু ঘিরে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রসাদী লাড্ডুতে বিশুদ্ধ ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। গুজরাতে সরকারি এক ল্যাবের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছেন তিনি। এই কাণ্ডের জন্য পূর্বতন জগন্মোহন সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছেন চন্দ্রবাবু। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মিশিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এই বিতর্কে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডা।