scorecardresearch
 

Odisha Train Accident: ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন, দুর্ঘটনার প্রথম খবর দেন জওয়ান, চালান উদ্ধারকাজও

এনডিআরএফ জওয়ান ভেঙ্কটেশ, যিনি প্রথমে তার সিনিয়রদের ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন, তিনি ছুটিতে ছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে তামিলনাড়ুতে যাচ্ছিলেন। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান কারণ কোচ 'B-7' তিনি ভ্রমণ করছিলেন সেটি লাইনচ্যুত হয়েছিল কিন্তু সামনের কোচে আঘাত করেনি।

Advertisement
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার অ্যালার্ট সবার প্রথমে দেন NDRF জওয়ান বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার অ্যালার্ট সবার প্রথমে দেন NDRF জওয়ান

করমন্ডল এক্সপ্রেসে থাকা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এক জওয়ান সম্ভবত প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রাথমিক উদ্ধার অভিযানে যোগদানের আগে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে জরুরি পরিষেবাকে অবহিত করেছিলেন। এনডিআরএফ জওয়ান ভেঙ্কটেশ এন. কে.  ছুটিতে ছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া থেকে তামিলনাড়ু যাচ্ছিলেন। শুক্রবার, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করোমন্ডেল এক্সপ্রেস ভুল ট্র্যাকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পণ্য ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। অভিশপ্ত ট্রেনের কোচগুলি আশেপাশের ট্র্যাক সহ সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন - বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, যা দ্রুত গতিতে আসছিল, সেটিও এই ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়েছিল।

রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ভেঙ্কটেশ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন কারণ তার কোচ B-7 লাইনচ্যুত হয়েছিল কিন্তু সামনের কোচগুলিতে আঘাত করেনি। তিনি থার্ড এসি কোচে ছিলেন এবং তার আসন সংখ্যা ছিল ৫৮।

ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন ভেঙ্কটেশ
কলকাতায় এনডিআরএফ-এর দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নে কর্মরত ৩৯ বছর বয়সী ভেঙ্কটেশ প্রথমে ব্যাটালিয়নে তার সিনিয়র ইন্সপেক্টরকে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান। তারপরে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে সাইটের লাইভ অবস্থানটি এনডিআরএফ কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়েছিলেন এবং এই তথ্যই  ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারী দল ব্যবহার করেছিল। ভেঙ্কটেশ বলেন, 'আমি একটি প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করি... তারপর দেখলাম আমার কোচে কিছু যাত্রী পড়ে যাচ্ছে। আমি প্রথম যাত্রীদের বের করে রেললাইনের কাছে একটা দোকানে বসিয়ে দিলাম... তারপর অন্যদের সাহায্য করতে দৌড়ে গেলাম।'

তিনি বলেন যে, একটি মেডিকেল দোকানের মালিক সহ স্থানীয় জনগণই ছিলেন 'আসল ত্রাণকর্তা' কারণ তারা ক্ষতিগ্রস্থদের সম্ভাব্য সব উপায়ে সহায়তা করেছেন এবং তাদের সাধ্যমত উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন। 

নিজেও উদ্ধারকাজে  নিয়োজিত হন
 ভুবনেশ্বরের প্রায় ১৭০ কিলোমিটার উত্তরে বালেশ্বরের বহনাগা বাজার স্টেশনের কাছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এক আধিকারিক বলেছেন, 'জওয়ান ভেঙ্কটেশ করমন্ডেল এক্সপ্রেসে ভ্রমণ করছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুতে নিজের বাড়িতে ছুটিতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কলকাতায় তার সিনিয়রদের জানান। সেই ফোন কলই সম্ভবত প্রথম কল যা এনডিআরএফকে সতর্ক করেছিল। পরে স্থানীয় প্রশাসনকেও জানানো হয়। 

Advertisement

জওয়ান ভেঙ্কটেশ  ২০২১ সালে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) থেকে এনডিআরএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন। ভেঙ্কটেশন জানান যে তিনি আহত এবং আটকে পড়া যাত্রীদের সনাক্ত করতে এবং তাদের উদ্ধার করতে নিজের মোবাইল ফোনের আলো ব্যবহার করেছিলেন। তখন অন্ধকার ছিল এবং উদ্ধারকারী দলের আগমন পর্যন্ত যাত্রীদের সাহায্য করার জন্য স্থানীয় লোকজনও তাদের মোবাইল ফোন এবং টর্চ ব্যবহার করেছিল।

দিল্লিতে এনডিআরএফ ডিআইজি মোহসেন শাহিদি বলেছেন যে ইউনিফর্ম বা ইউনিফর্ম ছাড়াই এনডিআরএফ জওয়ানরা  সবসময় ডিউটিতে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনার পর প্রথম এনডিআরএফ দল  এবং ওডিশা রাজ্যের উদ্ধারকারী দলগুলিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছিল এবং এই সময়ের মধ্যে এনডিআরএফ উদ্ধারকারীরা জীবন বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন 
 শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও এই ট্র্যাক থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। বর্তমানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলোর ধ্বংসাবশেষ ট্র্যাকে ছড়িয়ে রয়েছে। শনিবার ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী  ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানের খতিয়ে দেখেন। এরপর তিনি  হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।

Advertisement