অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির সম্ভাবনা। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন AAP নেতা এবং দিল্লির মন্ত্রী অতিশী। তিনি বলেন, ২ নভেম্বর আবগারি নীতির মামলার(Liquor Policy Case) সঙ্গে জড়িত আর্থিক কারচুপির বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করতে পারে ED। আর তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে, অতিশী দাবি করেন, 'বিজেপি AAP-এর শীর্ষ নেতাদের জেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এভাবে তাঁদের দলকে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'নির্বাচনে হারাতে না পেরেই বিজেপি AAP-এর বিরুদ্ধে এই ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে।'
'আমাদের কাছে এমন খবর রয়েছে যে, কেজরিওয়ালকে ২ নভেম্বর গ্রেফতার করা হবে৷ যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, সেক্ষেত্রে সেটি দুর্নীতির(অভিযোগ) কারণে নয় বরং তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলে,' বলেন অতিশী৷
'AAP দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এবং MCD নির্বাচনেও বিজেপিকে পরাস্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী AAP-এর জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান। বিজেপি জানে তারা নির্বাচনে AAP-কে পরাজিত করতে পারবে না,' বলেন তিনি।
সোমবার ইডি কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠিয়েছে। দিল্লি আবগারি নীতি মামলার সঙ্গে যুক্ত এক আর্থিক কারচুপির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় দিল্লিতে তাদের অফিসে ডাকা হয়েছে।
এই প্রথম কেজরিওয়ালকে তলব করল ইডি। এর আগে এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
অতিশীর আরও অভিযোগ, বিজেপি বিরোধী INDIA জোটের অন্যান্য নেতাদের এবং কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার পরে সিবিআই এবং ইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের টার্গেট করা হবে।
'এরপরে ওরা ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে টার্গেট করবে। তারপর তেজস্বী যাদবকে টার্গেট করবে, কারণ ওরা বিহারে জোট ভাঙতে পারেনি। তারপর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে. স্ট্যালিনকে টার্গেট করা হবে,' তিনি দাবি করেন।
অতিশী বলেন, AAP-এর নেতারা জেলে যেতে ভয় পান না। তাঁরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত সংবিধান বাঁচানোর লড়াই চালিয়ে যাবেন।