'এক দেশ, এক নির্বাচন'-এর দিকে আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্রের মোদী সরকার। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রক। এর সঙ্গে কমিটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে মোট ৮ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোবিন্দ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, গুলাম নবি আজাদ, এন কে সিং, সুভাষ কাশ্যপ, হরিশ সালভে এবং সঞ্জয় কোঠারি।
'ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন' প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন,'সদ্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির তরফে যে প্রস্তাব আসবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এনিয়ে আলোচনা হবে সংসদে। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই… ভারতকে গণতন্ত্রের জননী বলা হয়। এখানে উন্নয়ন হয়েছে…সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা করব।'
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বহবার এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এই বিলের সমর্থনের পিছনে সবচেয়ে বড় যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে এটি নির্বাচনে ব্যয় বাবদ কোটি কোটি টাকা বাঁচাতে পারে। অর্থের অপচয় এড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার ওয়ান নেশন-ওয়ান ইলেকশনের কথা বলেছেন। এর পক্ষে বলা হয়,এক দেশ-এক নির্বাচন বাস্তবায়নের ফলে দেশে প্রতি বছর নির্বাচনের জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তা সাশ্রয় হবে।
বলে রাখি,১৯৫১-১৯৫২ লোকসভা নির্বাচনে ১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। যেখানে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুক্তি, একই সময়ে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হলে দেশের সম্পদ বাঁচবে। উন্নয়নের গতি শ্লথ হবে না। 'এক দেশ-এক নির্বাচন' সমর্থনের পিছনে আরও একটি যুক্তিও রয়েছে যে ভারতের মতো বিশাল দেশে প্রতি বছরই কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয়। এসব নির্বাচন আয়োজনে পুরো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও সম্পদ ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে বারবার নির্বাচনের প্রস্তুতি থেকে রেহাই পাবে দেশ। সারাদেশে নির্বাচনের জন্য একটি মাত্র ভোটার তালিকা থাকবে। সরকারের উন্নয়ন কাজে কোনও বাধা থাকবে না।