scorecardresearch
 

Opposition Meeting In Patna: রাজ‍্যস্তরে কংগ্রেস-তৃণমূল লড়াই থাকবে, আর জাতীয় স্তরে বোঝাপড়া!

এখন প্রশ্ন হচ্ছে,রাহুল গান্ধী এবং মমতা একত্রিত হলেন বটে কিন্তু তাতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের কী প্রতিক্রিয়া হবে? প্রদেশ কংগ্রেস কর্মীদের কাছেই বা কী বার্তা যাবে?  ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে ঠেকাতে রাহুল এবং মমতা দিল্লির দরবারে বোঝাপড়া করছেন, আর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস লড়বে মমতার সঙ্গে!

Advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী।
হাইলাইটস
  • পটনায় বিরোধীদের বৈঠক।
  • একমঞ্চে মমতা-রাহুল।
  • প্রদেশ কংগ্রেসের কী প্রতিক্রিয়া হবে?

পটনায় নরেন্দ্র মোদী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা শেষপর্যন্ত একত্রিত হলেন। কেউ কেউ বাদ গেলেও হাজির থাকলেন প্রায় সকলেই। এই বিরোধী মঞ্চ পৌরোহিত‍্য করলেন বিহারের মুখ‍্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বহুদিন পর একই মঞ্চে রাহুল গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হলেন। পশ্চিমবঙ্গে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে, মমতার বিরুদ্ধে কংগ্রেস আর কমিউনিস্টরা একজোট হয়েছে ঠিক তখনই এই বৈঠক। বৈঠকের ফাঁকে সীতারাম ইয়েচুরি এবং রাহুল গান্ধী অনেকক্ষণ কথাও বলেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে,রাহুল গান্ধী এবং মমতা একত্রিত হলেন বটে কিন্তু তাতে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের কী প্রতিক্রিয়া হবে? প্রদেশ কংগ্রেস কর্মীদের কাছেই বা কী বার্তা যাবে?  ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে ঠেকাতে রাহুল এবং মমতা দিল্লির দরবারে বোঝাপড়া করছেন, আর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস লড়বে মমতার সঙ্গে!

তাহলে রাজনীতিটা হবেটা কী রকম! আমার মনে হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস, যার সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, রাহুল গান্ধী আর মমতার মধ্যে রাজ‍্যস্তরে জোট হোক আর না হোক তিনি কিন্তু মমতার বিরোধিতার লাইন থেকে সরছেন না। কংগ্রেস হাইকমান্ডও তাঁকে সরতে বলছে না। বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে। তার আগে ২০২৪। পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে কতটা আসন সমঝোতা হবে, কতটা হবে না, সেগুলি এখন অনেকটাই নির্ভর করছে নীতীশ কুমার এবং শরদ পাওয়ার কীভাবে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।

কোনও সন্দেহ নেই, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মীরা একটুখানি সংশয়ের মধ্যে পড়বেন। কিন্তু এটাও খুব পরিষ্কার মমতা বিরোধিতার জায়গা থেকে কংগ্রেস সরবে না বলেই মনে হয়। কারণ কংগ্রেসের থেকে মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম। তৃণমূল কংগ্রেসেও চাইবেনা যে কংগ্রেসের সঙ্গে আবার মিশে যেতে। এই আইডেন্টিটিটা এখন আলাদা হয়ে গিয়েছে। সুতরাং রাজ‍্যস্তরে এই লড়াই থাকবে। আর জাতীয় স্তরে বোঝাপড়া। এই একটা অদ্ভুত ভজঘট রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্যে এখন বিরোধী রাজনীতিটা গিয়ে পড়ছে। তাতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধিতার যে জোশ সেটা একটু তো লঘু হবেই।

আরও পড়ুন

Advertisement

কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে একটা সমস্যা দেখা দেবে। অবশ্য আপনি বলতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের আর আছেটা কী! একটা এমএলএ ও নেই। পঞ্চায়েতে প্রার্থী কিছু দেোয়া হলেও এটা ভবিতব্য যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম স্থান অধিকার করবে। এটা নিয়ে ভিন্ন মত এখনও কেউ পোষণ করেননি।

রাজনীতিতে কোনও পূর্ণচ্ছেদ নেই ঠিক কথাই। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সাংগঠনিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল। রাহুল গান্ধীও এখন ২০২৪ সালের কথাটাই বেশি ভাববেন এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং একটা নতুন সমীকরণ হতে চলছে। মমতা-রাহুল কতটা শেষপর্যন্ত কাছাকাছি আসবেন সেটা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

Advertisement