সংসদে ঢুকে তাণ্ডব এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দুই যুবক আচমকা দর্শকের গ্যালারি থেকে লাফ মারেন। তার পর রং বোমা ছোড়েন। সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনই এই ঘটনায় নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।
বুধবার সংসদে ঠিক কী ঘটেছিল?
বুধবার দুপুরে সংসদে অধিবেশন চলছিল। সেই সময় আচমকাই দর্শকদের গ্যালারি থেকে দু'জন ঝাঁপ দেন। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান সাংসদেরা। ছিটকে সরে গিয়ে সাংসদেরা দেখেন যে, চারদিকে হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছে। দুই যুবকের হাতে ছিল রং বোমা। এই দুই যুবকের নাম সাগর এবং মনোরঞ্জন। তাঁদের আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে, সংসদের বাইরে স্প্রে নিয়ে ঘুরছিল আরও দু'জন। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবহণ ভবনের সামনে থেকে এক মহিলা-সহ ২ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। তাঁদের নাম অমল এবং নীলম। এই চার জনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেফতার মূলচক্রী ললিত
অন্য দিকে, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ললিত মোহন ঝা নামে এক যুবককে। সংসদে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় ললিতই মূলচক্রী বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার রাতে কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ললিত। তাঁকে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সংসদে তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছিলেন ললিত, এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। ললিতের কাছ থেকে কোনও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়নি। রাজস্থানে সব অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ললিত নষ্ট করে দিয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের।
সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনকাণ্ডে বৃহস্পতিবার দিনভর তপ্ত হয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে ১৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের ডেরেক ও'ব্রায়েন। সূত্রের খবর, সংসদকাণ্ডে বৃহস্পতিবার শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।