জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের ঘণ্টা বাজার পর থেকে উপত্যকায় রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে। মোট ৯০ আসনে ভোট হবে। জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতি কোন খাতে বইবে, তা জানতে 'পঞ্চায়েত আজ তক' করছে aajtak। তা নিয়েই নানা প্রশ্নের জবাব দিবেন পিডিপি দলের মুখ্য প্রচারক ইলতিজা মুফতি। নির্বাচনী ময়দানে অভিষেক হয়েছে মেহবুবা-কন্যা ৩৭ বছরের ইলতিজা মুফতির।
আমি দাবাং টাইপ...
দলের জন্য কৌশল তৈরি ও নিজের জন্য কৌশল তৈরির ফারাক কতটা? প্রশ্নের উত্তরে ইলতিজা মুফতি বলেন, 'আমার নিজস্ব একটা পরিচিতি আছে। ইলতিজা হিসেবেই মানুষ আমাকে চেনে। আমি প্রভাব বিস্তার করতে পারি। এমন এমন গ্রামে যাই যেখানে পানীয় জল নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছয়নি, রাস্তাঘাট নেই। আমি আসলে একটু হলেও দাবাং গোছের। তবে মেহবুবাজি আবেগপ্রবণ। রাজনীতিতে সবার কথা শুনতে হয়। আমি সেটাই করছি।' প্রসঙ্গত, মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা বিজবেহারা আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আমার জন্য সম্মান গুরুত্বপূর্ণ...
রাজনৈতিক যাত্রাপথ কাকে দেখে শুরু করলেন? পঞ্চায়েত aajtak-এ এই প্রশ্ন করা হল ইলতিজা মুফতি-কে। উত্তরে মেহবুবার মেয়ে বলেন,'আমি চাই সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে। ওরা স্বস্তি পেলে ওদের চোখে আমার জন্য সম্মান দেখতে পাই। ভোটব্যাঙ্কের মাধ্যমে ভোট পাওয়া সহজ। কিন্তু মানুষের জন্য কী করতে পারলাম, কতটা তাদের প্রতি সহমর্মী হতে পারলাম সেটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। আমার উদ্দেশ্য হবে মানুষ যেন আমাকে বোঝে,ভুল না বুঝলেই হবে। উপত্যকার মানুষ আমাকে ভালোবাসলে সেটা বড় প্রাপ্তি।'
জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের জন্য আপনার এজেন্ডা কী?
ইলতিজা বলেন, 'আমরা গত পাঁচ বছর ধরে দেখছি, দিল্লিতে বসে সরকার আমাদের জমি ও চাকরি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। আপনার এলজি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল আপনি কতজন যুবককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। আমি বিজবেহারার কত গ্রামে এবং শহরে গিয়েছি। সেখানে মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে তাঁদের ছেলে ও সন্তানদের চাকরি চলে গেছে। কেন চাকরি খুইয়েছেন তাঁর? উত্তরে জানতে পারি, ১০ বছর আগে ফেসবুকে কিছু পোস্ট করার অপরাধে। এখানকার যুবসমাজ অনেক আশা-নিরাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কাশ্মীরে মাদকের সংকটও রয়েছে। আমাদের যুবসমাজও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।'