একেই বোধহয় বলে বলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যেখানে জয়ী এবং বিজয়ী দুই পক্ষের মধ্যে ফারাক ১২ হাজার ৭৬৮টি ভোটের। সংখ্যাটি দেখে অনেকের মনে হতে পারে, এতো বেশ বড়সড় সংখ্যা। কিন্তু না। তার কারণ যদি একটা রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ দল বা জোটের মধ্যে হয়, তা হলে এটা মোটেই বড় সংখ্যা নয়। এমনই বলছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বিহার বিধানসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, শাসন ক্ষমতায় আসতে চলা এনডিএ এবং বিরোধী মহাগটবন্ধনের মধ্যে ভোটের পার্থক্য ১২ হাজার ৭৬৮। রাজ্যের ৩ কোটি ১৪ লক্ষ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। সেখানে এনডিএ পেয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ২২৬টি ভোট। আর পর্ধান বিরোধী জোটের প্রাপ্ত ভোট ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪৫৮টি ভোট। শতাংশের বিচারে করা হলে এনডিএ-র ঝুলিতে পড়েছে ৩৭,২৬ শতাংশ ভোট। আর মহাগটবন্ধন পেয়েছে ৩৭.২৩ শতাংশ ভোট। ফারাক মাত্র ০.০৩ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান দিকে তাক লেগে যেতে পারে। এখন কংগ্রেস, বাম নেতারা হয়তো আফশোস করছেন যে আরও একটু চেষ্টা করলে শাসনক্ষমতার দায়িত্ব পাওয়া যেত। কপালে শিঁকে ছিড়লেও ছিড়তে পারত।
সেখানে রয়েছে ২৪৩ বিধানসভা আসন। দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে ১৩০টি আসনে জয়ের পার্থক্য সাড়ে ১২ হাজারের বেশি।
এনডিএ-তে ছিল বিজেপি, জনতা দাল ইউনাইটেড। আর মহাগটবন্ধনে ছিল আর জে ডি, কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এম- এল) লিবারেশন।
বলা যেতে পারে, একটু চুলের জন্য শাসন ক্ষমতায় আসতে পারল না মহাগটবন্ধন। সেখানকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আর জে ডি)। তারা পেয়েছে ৭৫ টি আসন। তারপর রয়েছে বিজেপি। তারা আরডেজির থেকে একটি আসন কম পেয়েছ। আরজেডি অভিযোগ করেছে, ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে যদি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন।
দিন কয়েক আগে জন্মদিন ছিল আর জে ডি নেতা, লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের। ০.০৩ শতাংশের ফারাক মেটানো গেলে তা আরও মধুর হত, সন্দেহ নেই। এটা তাদের পক্ষে যেমন ভাল দিক, তেমনই চিন্তার কথা এনডিএ-র জন্য।