রাজস্থানের সিরোহি পৌরসভার চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মেওয়াদা এবং তৎকালীন কমিশনার মহেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, পালি জেলার এক মহিলা এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন, যার ভিত্তিতে সিরোহি পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং পদক্ষেপ শুরু করেছে। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ভুক্তভোগী মহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে এবং আরও ১৫ থেকে ২০ জন মহিলাকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে চেয়ারম্যান ও কমিশনার ডেকে নিয়েছিলেন। এর পর গণধর্ষণ হয়। মহিলাদের ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করারও অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিতা জানান, দু-তিন মাস আগে তিনি তাঁর সহকর্মী মহিলাদের সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করতে সিরোহিতে এসেছিলেন। এ সময় তিনি চেয়ারম্যান ও কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। চেয়ারম্যান ও কমিশনার সকল মহিলাকে তাঁদের পরিচিতদের বাড়িতে থাকার এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য দেওয়া হয়। এরপর চেয়ারম্যান ও কমিশনার-সহ তাদের সহযোগীরা ওই মহিলাদের ধর্ষণ করেন।
নির্যাতিতা জানান, যখন সব মহিলার জ্ঞান ফিরে আসে, তখন তাদের মাথাব্যথা হচ্ছিল। কথোপকথন শেষে চেয়ারম্যান ও কমিশনারকে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরো বিষয়টি জানা যায়। তারা এবং তাদের দশ-পনেরোজন সঙ্গী হেসে বলে আমরা তোমাদের এখানে ডেকেছি শুধু এই জন্য। তারা সবাই মদ খেয়ে ছিল।
অভিযুক্তরা ভিডিওও করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এখন এসব লোক ব্ল্যাকমেইল করছে। তারা প্রত্যেক মহিলার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা করে দাবি করছে। পাশাপাশি ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে অন্যদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জন্যও চাপ দিচ্ছে। অভিযোগ, অভিযুক্তরা ওই মহিলাদের কাছ থেকে সাদা কাগজ ও স্ট্যাম্প নিয়েছে।
এই মামলার তদন্তকারী ডিওয়াইএসপি পারস চৌধুরী বলেছেন যে কিছুক্ষণ আগেও এই মহিলারা সিরোহি মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছিল। রাজস্থান হাইকোর্ট, যোধপুরে ৮ জন মহিলার পক্ষে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে এখন একটি মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।