বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সেক্স এডুকেশন নিয়ে মন্তব্যে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নারী শিক্ষার ভূমিকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করেন নীতীশ। তাঁকে কটাক্ষ করে এই বিষয়ে বিরোধীদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মধ্যপ্রদেশের গুনায় একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের বক্তব্য দেশের অবমাননার শামিল। "গতকাল INDI জোটের একজন বড় নেতা, 'ঘামন্ডিয়া গঠবন্ধন' মহিলাদের নিয়ে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন। তাঁরা একটুও লজ্জিত নয়। INDI জোটের কোনও নেতা এর বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলেননি। যারা মহিলাদের সম্পর্কে এমন ভাবেন তাঁরা কি ভাল কিছু করতে পারেন?"
তিনি আরও বলেন, "মা-বোনদের প্রতি যাদের এই বাজে মনোভাব আছে তারা আমাদের দেশকে অপমান করছে। আপনারা কতটা নীচে নামবেন।"
মঙ্গলবার নীতীশ কুমার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নারী শিক্ষার ভূমিকা সম্পর্কে প্রায় গ্রাফিক বিস্তারিতভাবে কথা বললে বিহার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হইচই শুরু হয়। তিনি অবশ্য আজ হাউসে তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, দাবি করেছেন যে তাদের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তিনি লজ্জিত বোধ করেছেন।
যদিও এর সাফাই দিয়ে পরে নীতীশ বলেন, 'আমি নারী শিক্ষার কথা বলেছি। এই কথাগুলি আমি সাধারণ অর্থেই বলেছি। যদি কেউ এতে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।' এই নিয়ে বিধানসভায় ক্ষমাও চান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমরা মহিলাদের শিক্ষার উপর জোর দিয়েছি। আমার বক্তব্যের জন্য কেউ ব্যথা পেলে আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। নিজেরও নিন্দা করছি। আমি শুধু লজ্জিতই নই, দুঃখপ্রকাশও করছি।' তবে নীতীশ কুমারের এই মন্তব্যের জন্য বিরোধী বিধায়করা সংসদে হৈ হট্টোগোল শুরু করেন।
তিনি দাবি করেছিলেন, মহিলারা লেখাপড়া করলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাঁর কথায়, ' 'মেয়েরা যখন শিক্ষিত হবে... আর যখন বিয়ে হবে... যে পুরুষ হয়, সে তো রাতে বউয়ের সঙ্গে করে না... তো তাতেই আরও সন্তানের জন্ম হয়ে যায়। আর যদি মেয়েরা পড়াশোনা করে থাকে, তাহলে সে জানবে যে... ঠিক আছে স্বামী করবে... কিন্তু শেষে ভিতরে না, ওটা বাইরে করে দাও। আপনারাই বুঝে নিন...।'