মাংস রান্না করা নিয়ে কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, শুক্রবার হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর উধমপুরে গিয়ে শ্রাবণ মাসে মাংস খাওয়া নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী। দুই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতাকে মোঘলদের সঙ্গেও তুলনা করেন মোদী।
এদিন মোদী বলেন, 'কংগ্রেস জনগণের আবেগ নিয়ে খেলে। পবিত্র শ্রাবণ মাসে তারা একজন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর বাড়িতে গিয়ে মাংস রান্না করে এবং সেই ভিডিও করে দেশের মানুষকে দেখায়। আইন কাউকে কিছু খেতে বাধা দেয় না, তবে এইসব নেতাদের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। মুঘল হানাদাররা যেমন একজন রাজাকে শুধু পরাজিত করেই নয়, সেখানকার মন্দির ধ্বংস করেও আনন্দ পেত, ঠিক সেই মানসিকতা নিয়েই ইন্ডি জোটের এই নেতারা শ্রাবন মাসে এমন ভিডিও তৈরি করে জনসাধারণকে দেখায়, যাতে তাদের তোষণের ভোটব্যাংক অটুট থাকে।'
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, নবরাত্রির সময় আমিষ খাবার খেয়ে ভিডিও করে দেখানোর পিছনে আরজেডি নেতার কী উদ্দেশ্য ছিল? জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আরজেডি নেতারা কাকে খুশি করতে চান?
উল্লেখ্য, গতবছর সেপ্টেম্বরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যাতে দেখা গিয়েছিল, লালুপ্রসাদ যাদব এবং রাহুল গান্ধী একসঙ্গে মাংস রান্না করছেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, কংগ্রেসের লোকজন এবং ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা দেশের অধিকাংশ মানুষের ভাবভক্তিকে তোয়াক্কা করে না।
তিনি আরও বলেন, ওরা মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। একজন মানুষ যিনি জেল খেটেছেন এবং জামিনে মুক্ত আছেন, ওঁরা তাঁর মতো অপরাধীর বাড়িতে বেড়াতে যান। শুধু তাই নয়, শ্রাবণ মাসের মতো পবিত্র মাসে একসঙ্গে মাংস রান্না করে ছবি তুলে মানুষকে দেখান। যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃণা তৈরি হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, মুঘলরা যেমন ছিল, ঠিক তেমনই এরাও দেশের বেশিরভাগ মানুষকে উত্ত্যক্ত করে মজা পায়। মোদী বলেন, এটা ঠিক যে, আইনে কোথাও বলা নেই কে কী খেতে পারবেন, কী পারবেন না। কিন্তু এইসব লোকের উদ্দেশ্য অন্যরকম। দৃষ্টান্ত দিয়ে তিনি বলেন, মুঘলরা যখন এদেশ আক্রমণ করেছিল, তখন তারা মন্দির ধ্বংস না করে শান্তি পায়নি। ওই মুঘলদের মতোই এই লোকগুলোও শ্রাবণ মাসে মাংস খেয়ে মানুষের বিরক্তি উদ্রেক করছে।