স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবরই সক্রিয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি তাঁর নজর সবসময় ছিল। বিশেষ করে প্রতি বছর 'যোগ দিবস' পালনের মাধ্যমে জাতিকে সুস্থতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ করে থাকেন তিনি। এবার আয়ুর্বেদ দিবস উপলক্ষে মোদী একাধিক স্বাস্থ্য প্রকল্প ও পরিষেবা উদ্বোধন করেছেন এবং সেই সঙ্গে দেশবাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ আয়ুর্বেদ থেকে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী পশ্চিমবঙ্গের ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ মানুষদের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মোদী বলেন, “আমি ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ মানুষদের সেবা করতে না পারায় ক্ষমাপ্রার্থী, কারণ পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির সরকার আয়ুষ্মান যোজনার সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার কারণে তাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।”
width="648">প্রধানমন্ত্রীর এই ক্ষমা প্রার্থনার পেছনে গভীর এক রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লির সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে আয়ুষ্মান যোজনার মত স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পে অংশগ্রহণ না করায় ওই দুই রাজ্যের মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, দেশের বাকি রাজ্যে আয়ুষ্মান যোজনা কার্যকরী হলেও, এই দুই রাজ্যের মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। “এমন মানবিক মনোভাবের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত রাজ্যের অসুস্থ মানুষদের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলছে,”—তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রসঙ্গে মোদী বলেন, “দেশের প্রতিটি প্রবীণ নাগরিকের সেবায় সর্বদা আমি প্রস্তুত। রাজনৈতিক ব্যবস্থার দেওয়াল আমাকে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ মানুষদের সেবা করতে বাধা দিচ্ছে।” দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিতেও আয়ুষ্মান যোজনা চালু হলে মানুষের সুরক্ষার ক্ষেত্র আরও শক্তিশালী হত বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই বক্তব্যে মোদী স্পষ্ট করেন, দেশের মানুষের সেবায় তাঁর ইচ্ছা থাকলেও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জন্য বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে, যা তাঁর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।