নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য় নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস-সহ তামাম বিরোধীরা। সূত্রের খবর,নির্বাচন কমিশনে মোদীর বিরুদ্ধে নালিশ করতে চলেছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে কংগ্রেসের ইশতেহার তুলে দেবেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়হে। তাঁকে ইশতেহার সম্পর্কে বিশদে বোঝাবেন। এনিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করবেন খাড়গে। এর আগেও কংগ্রেসের ইশতেহারকে স্বাধীনতার পূর্বে মুসলিম লিগের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে ঠিক কী বলেছেন, যা নিয়ে এত হইচই
রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,'কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মুসলমানদের মধ্যে জনগণের সম্পত্তি বণ্টন করে দেবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল যে দেশের সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এই শহুরে-নকশাল মানসিকতা আমার মা-বোনদের মঙ্গলসূত্রও ছাড়বে না'।
মোদী আরও বলেছেন,'কংগ্রেসের ইশতেহারে বলা হয়েছে, তারা মা-বোনদের কাছে থাকা সোনার হিসাব নেবে। তারপর সেই সম্পত্তি সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভাগ করে দেবে। যখন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা বলেছিল যে দেশের সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার মুসলিমদের। এর মানে তারা সম্পত্তি নিয়ে করে কার কাছে বিতরণ করবে? যাঁদের সন্তান বেশি তাঁদের মধ্যে এই সম্পত্তি বন্টন করা হবে। আপনার সম্পত্তি তারা অনুপ্রবেশকারীদের দেবে। আপনার কষ্টার্জিত টাকা কি অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া হবে? আপনার কি এটা মেনে নেবেন?'
রাহুলের পাল্টা
প্রথম দফার ভোটের হাওয়া বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মেরুকরণের রাজনীতি করছেন বলে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,'প্রথম দফার ভোট দেখে হতাশ প্রধানমন্ত্রী। হারার ভয়ে নরেন্দ্র মোদী এতটা নিচে নেমে গিয়েছেন যে সাধারণ মানুষের মূল্য সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন। কংগ্রেসের বৈপ্লবিক ইশতেহারের মাথায় রেখে ভোট দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বেকারত্ব, পরিবার ও ভবিষ্যতের জন্য ভোট দেবে দেশ'।