আগামী ৩০শে মার্চ বুধবার হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি দফতর। নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগেও গুরুচাঁদ হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে ছুটি ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এদিকে হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকা সফরে গিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওড়াকান্দি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে এই মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম। মতুয়া সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান ওড়াকান্দি। মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুর। প্রথম কোন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মতুয়াদের ধর্মস্থানে পা রেখে মোদী বলেছিলেন, "আমি বহু বছর ধরে এখানে আসার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। ২০১৫-তে বাংলাদেশ সফরের সময়ও আমি ওড়াকান্দিতে আসতে চেয়েছিলাম। আজ সেই ইচ্ছা পূরণ হল।" গত বছর ওই সময় পশ্চিমবঙ্গে চলছিল বিধানসভা ভোট। তাই মোদীর এই সপরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেছিলেন অনেকে।
এদিকে গত জানুয়ারি মাসে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বিবাদ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সিএএ চালু না হলে আগামী দিনে মতুয়া ভোট বিজেপির হাতছাড়া হতে পারে বলেও দলের একাংশের আশঙ্কা। এই প্রেক্ষিতে মতুায়া সম্প্রদায়ের মানুষকে লেখা প্রধানমন্ত্রীর চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈকির বিশেষজ্ঞ মহল।
করোনা পরিস্থিতিতে গত দু’বছর মতুয়া মহামেলা বন্ধ ছিল। এ বার ২৯ মার্চ ঠাকুরনগরে কামনা সাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে ওই মেলা শুরু হবে। চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বসছে এই মেলার আসর । আবির্ভাব তিথিতে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে বারুণী মেলা মেলা ঘিরে এখন চরম উদ্দীপনা। এদিকে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের বার্তা দেবেন বলে জানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।