লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীর উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে ভারতের উন্নয়নের জন্য সকলের সমর্থন চেয়েছেন মোদী। সেই সঙ্গে গত ১০ বছরে তাঁর সরকারের নানা কথা তুলে ধরেছেন চিঠিতে। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে মোদীর এ হেন খোলা চিঠি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
চিঠিতে দেশবাসীকে 'পরিবারের সদস্য' বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু'বারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেছেন চিঠিতে।
কী লিখেছেন চিঠিতে?
চিঠিতে মোদী লিখেছেন, 'সাধারণ মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন ঘটেছে, তা গত ১০ বছরে আমাদের সরকারের বড় কৃতিত্ব। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। গরিব, কৃষক, যুবক, মহিলাদের জীবনধারা উন্নত হয়েছে।' এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন মোদী।
পাশাপাশি, ৩৭০ ধারা রদ, জিএসটি চালু, মহিলা সংরক্ষণ বিল, নতুন সংসদ ভবনের বিষয়ও জায়গা পেয়েছে মোদীর চিঠিতে। আগামী দিনে ভারত যাতে আরও উন্নতি করতে পারে, সেই উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল হতে সকল দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্য দিকে, শনিবার লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। দুপুর ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন। সাংবাদিক বৈঠক থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে। কবে থেকে ভোট শুরু হবে? কত দফায় ভোট হবে? এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নানা জল্পনাও চলছে রাজনৈতিক মহলে। দুপুরের পরই ছবিটা স্পষ্ট হবে। অন্য দিকে, পশ্চিমঙ্গে কত দফায় ভোট হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে সর্বত্র। ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আদর্শ আচরণবিধি চালু হবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৭ দফায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। এবার ১ দফায় ভোট করার দাবি জানিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত কি শাসকদলের সেই দাবি মেনে নেবে কমিশন? বস্তুত, এ বছর বাংলায় সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ফলে মনে করা হচ্ছে, এ বছর গতবারের মতোই ৭ দফায় ভোট হতে পারে। আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান, গতবারের থেকেও বেশি দফায় ভোট হতে পারে বাংলায়। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলায় এবছর কত দফায় ভোট হয়, তা জানা যাবে বিকেলে।