গতকালই সংসদে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরই সেখানকার বাসিন্দারা দাবি করছেন, মোদীর মণিপুরে এসে বাস্তবাতা দেখা উচিত। ইন্ডিয়া টুডে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিক্রিয়ার পরে ইম্ফলের মণিপুরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে। বেশিরভাগ লোকের মতামত ছিল যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর মণিপুর নিয়ে আগেই কথা বলা উচিত ছিল।
৪৭ বছর বয়সী এক সমাজকর্মী লখপতি প্রশ্ন করেন, কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী মণিপুর নিয়ে কথা বলতে এত সময় নিয়েছিলেন। মোদী ১০০ দিন ধরে নীরব ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেছিলেন যে, দেশ মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার মণিপুরের শান্তি পুনরুদ্ধার করতে একসঙ্গে কাজ করছে। মণিপুরের জাতিগত হিংসার বিষয়ে মোদী যখন বক্তব্য পেশ করছেন, তখন ১৫০টি প্রাণ চলে গিয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
লাইশরাম আমির কুমার নামে এক ব্যবসায়ী ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, "আলোচনাটা আগে থেকেই হওয়া উচিত ছিল। কেন এত সময় লাগলো? আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীরও রাজ্য সফর করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী যদি এখানে আসেন, তাহলে তিনি বাস্তবতা দেখতে পাবেন। নির্বাচনের সময় না এসে তাঁর এখন আসা উচিত।''
আরও এক বাসিন্দা, ভবানন্দও একই অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রীর আসা উচিত এবং হিংসা কবলিত জায়গাগুলি পরিদর্শন করা উচিত। তাঁর উচিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে দেখা করা। তাঁদের সঙ্গে বসে কথা বলা।'
উল্লেখ্য, তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হওয়ার পর ৩ মে মণিপুরে সহিংসতা শুরু হয়, তখন থেকে ১৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয় এবং শতাধিক আহত হয়।
মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইটিস এবং বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে, যেখানে নাগা এবং কুকিদের অন্তর্ভুক্ত আদিবাসীরা ৪০ শতাংশ গঠন করে এবং প্রধানত পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাস করে।