পঞ্জাবের রাজনীতিতে নয়া মোড়। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তাহলে কি কংগ্রেস ছাড়তে পারেন অমরিন্দর? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
৪০ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে আলাদা মোর্চা খুলেছিলেন অমরিন্দর সিং। তখনই প্রকাশ্যে চলে আসে কংগ্রেসের ফাটল। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিধায়ক দলের বৈঠকও ডেকেছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর। তবে বৈঠকের ঠিক আগে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। তারপর বলেন, তিনি এখনও কংগ্রেসে আছেন। তবে এদিনের পর থেকে তাঁর কাছে রাজনৈতিক বিকল্পের পথ প্রশ্নস্ত হল। তিনি এই নিয়ে দলের বাকি সদস্য.দের সঙ্গেও কথা বলবেন।
আরও পড়ুন : বাবুলের 'সুর' বদল, মোদীর স্নেহধন্য থেকে মমতার ছায়ায়
রাজভবন থেকে বেরিয়ে অমরিন্দর সিং বলেন, 'গত কয়েকমাসে এই নিয়ে ৩ বার আমাকে হাইকমান্ড দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। আমার মনে হচ্ছিল, তারা আমার কাজে খুশি নয়।' তাহলে কি হাইকমান্ডের সঙ্গে মত বিরোধের কারণেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন তিনি? এই নিয়ে যদিও পরিষ্কার করে কোনও কথা বলেননি তিনি।
কয়েকমাসের মধ্যেই পঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। তার মধ্যেই অমরিন্দরের পদত্যাগ পঞ্জাব কংগ্রেসকে ভেঙে দেবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, অমরিন্দরের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ একাধিক নেতা। তবে এও শোনা যাচ্ছে, অমরিন্দরের পক্ষে রয়েছেন অনেক নেতাই।
কংগ্রেসের সঙ্গে অমরিন্দরের সম্পর্কে ফাটল শুরু হয় জুলাইয়ে। সেই সময় তাঁর আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে নভজ্যোৎ সিং সিধুকে পদ দেওয়া হয়। তারপর থেকেই দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যায় কংগ্রেস দল।
আরও পড়ুন :মালদা মেডিকেলে নতুন করে ভর্তি ৬৬ শিশু , বাড়ছে আশঙ্কা
তবে এবার কাকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, সোনিয়া গান্ধির কাছে ইতিমধ্যেই একাধিক নেতার নাম পৌঁছেছে। তবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানবেন কি না সেটাই দেখার।