জাতিগত জনগণনা নিয়ে তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ তথা সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং অনুরাগ ঠাকুর। দু'জনের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হল। অখিলেশ যাদবকে পাশে পেলেন রাহুল গান্ধী। চূড়ান্ত হট্টগোল লোকসভায়! রাহুল অভিযোগ করলেন, অনুরাগ তাঁকে গালিগালাজ করেছেন।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, অনুরাগ তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। তাঁকে অপমান করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে ক্ষমাপ্রার্থনা চাননি রাহুল। বলে রাখি, মঙ্গলবার সংসদে স্পিকারের চেয়ারে বসেছিলেন জগদম্বিকা পাল। রাহুল গান্ধীকে লক্ষ্য করে অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন,'ওঁর জানা উচিত যে বিরোধী দলনেতার অর্থ বিরোধী দলের নেতা, প্রচারের নেতা নয়। কংগ্রেসের জমানায় একাধিক দুর্নীতির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন অনুরাগ।
সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলছে। সেখানে বাজেট নিয়ে চলছে আলোচনা। এই আলোচনায় উঠে এসেছে জাতিগত জনগণনার প্রসঙ্গও। এই সময় রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন,'অনুরাগ ঠাকুর' আমাকে গালিগালাজ করেছেন। অপমান করেছেন আমায়। কিন্তু ওঁদের ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই'।
রাহুল গান্ধীকে প্রচার নেতা বলে অনুরাগ কটাক্ষ করতেই সংসদে হইচই পড়ে যায়। রাহুল গান্ধী নিজের আসন থেকে উঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে জবাব দিয়েছেন। মহাভারতের কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, 'স্পিকার স্যার, যে-ই দলিতদের ইস্যু তুলেছে, তাঁকেই গালাগালির শিকার হতে হবে। আমি সানন্দে এই সমস্ত গালাগালি গ্রহণ করব। মহাভারতে অর্জুন একটি মাছের শুধু চোখ দেখতে পেয়েছিল। তাই আমাদের জাতিগত জনগণনা দরকার। সেটা আমরা করবই। এর জন্য আমি যতই নির্যাতিত হই না কেন! অনুরাগ ঠাকুর জি আমায় গালি দিয়েছেন, কিন্তু আমি তাঁর কাছে কোনও ক্ষমা চাই না'।
রাহুল গান্ধীর আক্রমণের পর সংসদে শুরু হয় হট্টগোল। স্পিকার জগদম্বিকা পাল সবাইকে শান্ত থাকতে বলেন।এই সময় অখিলেশ যাদব তাঁর আসন থেকে উঠে দাঁড়ান। রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করে তিনি বলেন, 'সংসদের অধিবেশনকক্ষে কারও জাত কীভাবে জিজ্ঞাসা করা যায়?'
তাতে সম্মতি দিয়ে চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন,'সংসদে কেউ কারও জাতি জিজ্ঞেস করবেন না।