'এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়'। এই স্লোগানেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার মোদীর 'এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়'-কে বিঁধলেন রাহুল গান্ধী। জুড়ে দিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। রাহুলের মন্তব্য,'মহারাষ্ট্রে আসলে এক-দু' জন কোটিপতির সঙ্গে গরিবদের ভোটের লড়াই হচ্ছে'। সেই সঙ্গে ধারাভি প্রকল্পে আদানিকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
সোমবার মুম্বইয়ে রাহুল গান্ধীর সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন একটি সিন্দুক আনা হয়। যার উপর লেখা মোদীর স্লোগান,'এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়'। রাহুল বলেন,'এটাই নরেন্দ্র মোদীর 'এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়'-এর আসল রূপ। মহারাষ্ট্র সরকারের কৌশল'। সিন্দুকের লকার খোলেন রাহুল। বেরিয়ে আসে দুটি পোস্টার। একটি পোস্টারে পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানি। আর একটি পোস্টারে, ধারাভির মানচিত্র। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ,'এক লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা চলছে। এটাই ওদের লক্ষ্য। এটাই ওঁর স্লোগানের আসল মানে'।
এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভির উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছেন রাহুল। তাঁর কথায়, 'ধারাভির সংস্কার প্রকল্পে বিস্তর গরমিল রয়েছে। শুধুমাত্র একজনের স্বার্থের কথাই ভাবা হয়েছে। দরপত্র কীভাবে ডাকা হয়েছিল? ভারতের সব বন্দর, বিমানবন্দর এবং টাকা দেওয়া হচ্ছে কেবল একজনকে। এতেই আমাদের আপত্তি। সমস্ত বড় প্রকল্প মহারাষ্ট্র থেকে ছিনিয়ে নিয়ে অন্যকে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কাছ থেকে ৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান চলে গিয়েছে ভিন রাজ্যে'।
রাহুল বলেন,'মহারাষ্ট্রে নির্বাচন মতাদর্শের লড়াই। একজন-দুজন কোটিপতির সঙ্গে গরিবদের মধ্যে নির্বাচন। মুম্বইয়ের জমি হাতে নিতে চান কোটিপতিরা। এক লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার কথা এক শিল্পপতিকে। মহারাষ্ট্রের কৃষক, বেকার যুবক ও গরিবদের সাহায্য করতে চাই আমরা। ৩ হাজার টাকা আমরা মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেব প্রতি মাসে। বাসেও তাঁরা বিনামূল্যে যেতে পারবেন। জাতিগত গণনাও করব আমরা'।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন,'মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বেকারত্ব ও মুল্যবৃদ্ধিই প্রধান বিষয়। আমাদের লক্ষ্য নারী, যুব ও কৃষকদের উন্নয়ন। কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানায় জাতিগত গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ৫০% সংরক্ষণের বাধা দূর করব। আমাদের সরকার ২৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা দেবে। আড়াই লাখ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হবে। এসব দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সয়াবিনের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বাড়াতে বদ্ধপরিকর'।