আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আপনার কি যোগ রয়েছে তা স্পষ্ট করুন। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওসিসিপিআর-এর নতুন রিপোর্ট নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,'স্বচ্ছতা আর প্রতিযোগিতা রয়েছে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। এটা কোনও সাধারণ সংবাদপত্র নয়। এই ধরনের সংবাদপত্রের লেখার উপর নির্ভর করে দেশের ভাবমূর্তি। কয়েক বিলিয়ন ডলার ভারত থেকে গিয়েছে। সেটাই ঘুরেফিরে ভারতে এসেছে। এটা আদানির টাকা নাকি অন্য কারও?'
রাহুলের প্রশ্ন,'আমি বুঝে উঠতে পারছি না, কেন প্রধানমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না। কেন তিনি নীরব? কেন তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করছেন না তিনি?' জি২০ বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে উঠছে গুরুতর ভূমিকা। তাঁর দাবি, যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে গোটা বিষয়টির তদন্ত করা দরকার।
এ দিন রাহুল গান্ধী বলেন,'জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসছেন নেতারা। আজ একটি সকালে সংবাদপত্রে গুরুতর বিষয় তোলা হয়েছে।' সংবাদপত্রের শিরোনাম বর্ণনা করে তিনি বলেন, 'মোদীর ঘনিষ্ঠ একটি পরিবারের শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভারত থেকে এক বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন দেশে গিয়েছে। তা ফিরে এসেছে। তা শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করেছে। এর মাধ্যমে তারা ভারতের পরিকাঠামো, বিমানবন্দর, বন্দর কিনছে আদানি গোষ্ঠী। ওই বিদেশি সংবাদপত্রের দাবি, এর প্রমাণ রয়েছে।'
কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন করেন,'এই যে টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে,এটা কার? এটা আদানির না অন্য কারও! এই কাজ করার মাস্টারমাইন্ড বিনোদ আদানি। তাঁর দুই পার্টনার আছে। নাসির আলি, সবান আলি এবং এক চিনা নাগরিক চ্যাং চং লিং।"
এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে বলেও মনে করেন রাহুল। তাঁর কথায়,'আদানি ভারতের বড় বড় পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করছে। তার ব্যবসার সঙ্গে কেন চিনা নাগরিকরা জড়িয়ে? তাদের ভূমিকা কী? বিদেশিরা কীভাবে ভারতীয় স্টক মার্কেটে কারসাজি করছে? কেন এই প্রশ্ন করা হচ্ছে না? এটা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। আদানি প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত। সেক্ষেত্রে ? চিনা নাগরিকদের কী ভূমিকা?'