শনিবার সংসদে বিজেপিকে আক্রমণ করার জন্য সাভারকারের প্রসঙ্গ তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। 'আমাদের সংবিধানে ভারতীয় বলে কিছুই নেই', লোকসভায় সংবিধানের উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে সাভারকারের এই মন্তব্যকে উল্লেখ করেছেন রাহুল। তিনি বলেন, সাভারকার বিশ্বাস করতেন যে মনুস্মৃতি দ্বারা সংবিধানকে বাতিল করা উচিত। রাহুল বলেন,'সাভারকার তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে বলেছেন যে আমাদের সংবিধানে ভারতীয় কিছুই নেই, যখন আপনি (বিজেপি) সংবিধান রক্ষার কথা বলেন, আপনি সাভারকারকে উপহাস করছেন, আপনি সাভারকারকে গালি দিচ্ছেন, আপনি সাভারকারকে অপমান করছেন। মহাত্মা গান্ধী জেলে গিয়েছিলেন, নেহেরুজি জেলে গিয়েছিলেন। সাভারকর ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন।'
রাহুল সংবিধানকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে বারেবারে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা সংবিধান মেনে চলি। বিজেপির বই মনুস্মৃতি। আমরা প্রত্যেক গরিব মানুষকে বলতে চাই যে আপনারা সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত।' মহাভারতের দ্রোণাচার্যের সঙ্গে বিজেপির তুলনা করে রায়বরেলির সাংসদ বলেন, 'তিনি যেমন একলব্যের বুড়ো আঙুল কেটেছিলেন, তেমনি বিজেপি আজকের যুব সমাজের আকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে দিচ্ছে। সরকারি চাকরিতে ল্যাটারাল এন্ট্রি এনে যুবক, অনগ্রসর শ্রেণির, গরিবদের বুড়ো আঙুল কেটে ফেলছে বিজেপি। ৭০টির মতো পেপার ফাঁস হয়েছে। এটা করে যুবকদের বুড়ো আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে।'
গৌতম আদানিকে অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিযুক্ত করেন রাহুল। তাঁর দাবি, এর ফলে দেশের অন্যান্য ছোট ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। রাহুল বলেন,'আজ, আপনি দিল্লির বাইরে কৃষকদের Aপর টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়েছেন, আপনি তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করেছেন। কৃষকরা এমএসপি, একটি উপযুক্ত মূল্য দাবি করছেন। কিন্তু আপনি আদানি, আম্বানিদের লাভের সুবিধা দিচ্ছেন এবং কৃষকদের বুড়ো আঙুল কেটে দিয়েছেন।'
বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল আবারও জাত শুমারির পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন যে ভারতে একটি নতুন ধরণের উন্নয়ন ঘটবে জাত শুমারি করা হয়। তিনি বলেন, 'আমরা নিশ্চিত করব যে সংরক্ষণে ৫০ শতাংশের সীমা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ তুলে যদিও রাহুল গান্ধীকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন,'যারা সংবিধানের কপি দোলাচ্ছেন, তাঁরা জানেন না এতে কতগুলি পাতা রয়েছে৷ এটি সংবিধানের শক্তি ছিল, যা ইন্দিরা গান্ধীকে জরুরি অবস্থার অবসান ঘটাতে বাধ্য করেছিল।'