লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ইভিএম নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তবে একেবারেই যে প্রশ্ন উঠছে না তা নয়। আরও একবার ইভিএম নিয়ে শোরগোল পড়তে চলেছে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কারণ এবার ইভিএম নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের পুরনো লেখা নিয়ে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে রাহুল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,'ভারতে ইভিএম একটি ব্ল্যাক বক্স। কারও দেখার অনুমতি নেই। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে গণতন্ত্র পরিণত হয় ছলছাতুরিতে। বাড়ে কারচুপির সম্ভাবনা'।
রাহুল গান্ধী নিজের লেখায় মুম্বইয়ের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনায় ইভিএম নিয়ে শিবসেনা শিন্দে গোষ্ঠীর সাংসদ রবীন্দ্র ভাইকরের শ্যালক মঙ্গেশ পান্ডিলকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মুম্বইয়ের গোরেগাঁও নির্বাচনী কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে মঙ্গেশ পাণ্ডিলকরের বিরুদ্ধে। পান্ডিলকারকে মোবাইল ফোন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ। উত্তর পশ্চিম আসনের একাধিক প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। যার ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবীন্দ্র ভাইকার পুনর্গণনার পর উত্তর পশ্চিম আসন থেকে মাত্র ৪৮ ভোটে নির্বাচনে জয়ী হন। তার পর শুরু হয় বিতর্ক।
শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে দল) প্রার্থী রবীন্দ্র ভাইকার মুম্বাই উত্তর পশ্চিম লোকসভা আসন থেকে মাত্র ৪৮ ভোটে জিতেছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে জয়ের সবচেয়ে ছোট ব্যবধান।
মাস্ক কী পোস্ট করেছিলেন
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন অর্থাৎ ইভিএম দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছেন মাস্ক। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ লেখা পোস্টে তিনি বলেছেন,'ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বাতিল করা উচিত। এটি মানুষের বা AI দ্বারা হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যদিও এই ঝুঁকি কম। তাও তার সম্ভাবনা বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের পোস্ট শেয়ার করার সময় ইলন মাস্ক এ কথা বলেন। রবার্ট এফ কেনেডি নিজের পোস্টের শুরুতে পুয়ের্তো রিকোর নির্বাচনের সময় ইভিএমে অনিয়মের কথা লিখেছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতির প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে উদ্ধৃত করে পোস্টে লিখেছেন যে পুয়ের্তো রিকোর সাধারণ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন সম্পর্কিত ভোটিংয়ে নানা কারচুরি প্রকাশ্যে এসেছে। পেপার ট্রেল থাকায় সমস্যার সমাধান হয়।