সংবিধান হাতে নিয়ে লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শপথ নেওয়ার পর স্পিকারের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা মার্শালের সঙ্গেও করমর্দন করেন তিনি। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। শপথ নেওয়ার পর জয় সংবিধান এই স্লোগানও দেন তিনি।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী বলেন, 'আমি, রাহুল গান্ধী, লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর, দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকার করছি যে আমি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতের সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের আস্থা ও আনুগত্য রাখব, আমি সার্বভৌমত্ব বজায় রাখব। ভারতের অখণ্ডতা অক্ষত। আমি যে দায়িত্বই গ্রহণ করি না কেন, আমি তা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করব।' রায়বরেলির সাংসদ রাহুলের শপথ গ্রহণের পর তাঁকে ধন্যবাদ জানান স্পিকার। বিজেপি বিরোধী সাংসদরাও রাহুলকে অভিনন্দন জানান।
এদিন শপথ নেন কনৌজ লোকসভা আসনের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদবও। তাঁর হাতে সংবিধানের অনুলিপি ছিল।
১৮ তম লোকসভার প্রথম দিনে (২৪ জুন) প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ মোট ২৬২ জন নবনির্বাচিত সাংসদ শপথ নেন। বাকি সাংসদরাও মঙ্গলবার শপথ নেন। এদিকে শপথ গ্রহণের মধ্যেই লোকসভার স্পিকার পদ নিয়ে শাসক দল ও বিরোধীদের মধ্যে শোরগোল পড়েছে। ঐকমত্যের অভাবের কারণে, উভয় জোটই অর্থাৎ এনডিএ এবং ইন্ডিয়া ব্লক নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থী দিয়েছে।
২৬ জুন অর্থাৎ বুধবার লোকসভার কার্যক্রম শুরু হবে পরবর্তী স্পিকারের নির্বাচন দিয়ে। প্রোটেম স্পিকার ভোটাভুটি পরিচালনা করবেন। রাজস্থানের কোটা থেকে তিনবারের সাংসদ ওম বিড়লা এবং কেরলার মাভেলিকারা থেকে ৮ বারের সাংসদ কে সুরেশের স্পিকারের পদে লড়ছেন। ওম বিড়লা এনডিএ-র প্রার্থী। যিনি আগের ৫ বছরও স্পিকার ছিলেন। অন্যদিকে সুরেশ ইন্ডিয়া ব্লকের প্রার্থী।
এদিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় 'জয় প্যালেস্টাইন' স্লোগান দেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। ওয়াইসিকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর দেওয়া স্লোগানের বিরোধিতা করা হচ্ছে। মিম প্রধান উত্তর দেন, 'কে কী বলল, আর কী বলল না, সব আপনার সামনে আছে। আমি শুধু বলেছিলাম, জয় ভীম, জয় মিম, জয় তেলঙ্গানা, জয় প্যালেস্টাইন… এবং এটাও বলেছি যে সবাই যা বলে তা শুনুন।' জয় প্যালেস্টাইন বলা সংবিধান বিরোধী নয় বলেও দাবি করেন আসাদউদ্দিন।