আজ, বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে বিরোধী দল এবং শাসকদলের মধ্যে তীব্র সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ধাক্কাধাক্কি এবং উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই সংসদ মার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন।
রাহুলের অভিযোগ: বিজেপির উদ্দেশ্য মূল ইস্যু থেকে মনোযোগ সরানো
রাহুল গান্ধী বলেন, “আমরা সংসদে আদানি মামলার আলোচনা চেয়েছিলাম। বিজেপি শুরু থেকেই এই ইস্যুতে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আজ, সংসদের সিঁড়িতে লাঠি হাতে বিজেপি সাংসদরা দাঁড়িয়ে আমাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এগোচ্ছিলাম, কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার আদানিকে বাঁচানোর জন্য মনোযোগ সরাতে এসব করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত এবং তার দেওয়া মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।”
মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য: “নারী সাংসদদের প্রতি অবমাননা”
মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন যে, বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেসের নারী সাংসদদের ধাক্কা দিয়েছে। তিনি বলেন, “সরকার নিজেই শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আমাদের সাংসদদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের নিয়ে মজা করা হয়েছে। এই আচরণ সংসদের মর্যাদার পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “বাবা সাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক। অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা সত্যনিষ্ঠ নয়। এর মাধ্যমে তারা ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করছেন।”
পেশিশক্তির অভিযোগ
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আজ আমরা সংসদে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু মকর দরজার সামনে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। তারা তাদের পেশিশক্তি দেখিয়েছে। আমাদের সঙ্গে নারী সাংসদরাও ছিলেন, কিন্তু তারা সবাইকে ধাক্কা দিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অসংবেদনশীল এবং অগ্রহণযোগ্য।”
সরকারের নিন্দা এবং দাবি
কংগ্রেস পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ এবং তার দেওয়া মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। রাহুল গান্ধী বলেন, “আজকের এই ঘটনাটি বিজেপির অসহিষ্ণু মানসিকতার প্রতিফলন। সরকারের উচিত এই বিষয়ে জবাবদিহি করা এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।”