scorecardresearch
 

Ram Mandir: শরীরজুড়ে রামের ট্যাটু, দেহকেই মন্দিরে পরিণত করে এই সম্প্রদায়ের লোকেরা

যাঁরা শরীরের কোনও অংশে রামের নামের ট্যাটু করিয়ে নেন, তাঁদের বলা হয় রামনামী।

Advertisement
ফাইল ছবি ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • ১৮৯০ সালের দিকে রামনামী সমাজের শুরু হয়। কথিত,  পরশুরাম নামে এক দলিত এই সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন।
  • উচ্চ বর্ণের ব্যক্তিরা 'নিম্ন বর্ণে'র ব্যক্তিদের মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার পর পরশুরাম এই সম্প্রদায় গড়ে তোলেন।
  • মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে তখন থেকেই এই সম্প্রদায় সারা শরীরে ভগবান শ্রী রামের নাম ট্যাটু করতে শুরু করে।

সোমবার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। দেশজুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে আজ কার্যত উৎসবের মেজাজ ছিল। অযোধ্যাতেও বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়েছে। প্রত্যেকেরই রামের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের নিজস্ব ধরণ রয়েছে। কিন্তু, আপনি কি এমন একটি সম্প্রদায়ের কথা জানেন, যাঁরা রামের নামে তাঁদের শরীরটাই উৎসর্গ করেছেন?

ছত্তিশগড়ের, এই বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁদের শরীরে রামের নাম ট্যাটু করেন। এর পাশাপাশি রামের নাম লেখা পোশাক পরেন। এছাড়া এই সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা রামচরিতমানস ও রামায়ণের পুজো করেন। একজন-দু'জন নয়, এমন একটি গোটা সম্প্রদায় রয়েছে। এই সম্প্রদায়ের কেউই কোনও মন্দিরে যান না বা রামের মূর্তিও পুজো করেন না। এঁরা 'রামনামী' নামে পরিচিত। এই সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, তাঁদের রাম কোনও মন্দির বা মূর্তির মধ্যে নেই। বরং প্রতিটি মানুষ, গাছ, গাছপালা, পশুপাখিতেই তিনি বিরাজমান।

সারা শরীরে রামের নামের ট্যাটু করা
ছত্তিশগড়ের চাঁদলি গ্রাম থেকেই এই রামনামী সমাজের পথচলা শুরু। গুলারাম রামনামী এই সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনিই রামনামী সমাজের বিষয়ে আমাদের জানালেন। গুলারামজির কথায়, রামনামী সমাজে শরীরে রাম লেখার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রামনামী সমাজে তিন ধরনের মানুষ বাস করে। যাঁরা শরীরের কোনও অংশে রামের নামের ট্যাটু করিয়ে নেন, তাঁদের বলা হয় রামনামী। যাঁরা কপালে দু'টি রামের নাম ট্যাটু করা আছে, তাঁদের শিরোমণি বলা হয়। সমগ্র কপাল ও শরীরের প্রতিটি অংশে রাম লেখেন যাঁরা, তাঁদের বলা হয় 'শিখা রামনামী'।

আরও পড়ুন

গুলারামজি জানালেন, ছত্তিশগড়ের রামনামী সম্প্রদায় পুরো শরীরে রামের নাম ট্যাটু করিয়ে নিজেদের এক অনন্য পরিচয় তৈরি করেছে। গত ২০ প্রজন্ম ধরে এই ঐতিহ্য অনুসরণ করছে এই সম্প্রদায়। যদিও রামনামী সম্প্রদায়ের নতুন প্রজন্ম সারা আর সেভাবে শরীরে রামের নামের ট্যাটু করে না। পরিবারের চাপে বা প্রথা মেনে কপালে বা হাতে দু-এক জায়গায় রামের নামের ট্যাটু করিয়ে নেয়।

Advertisement

'মন্দিরে ঢুকতে পারিনি তাই শরীরটাকেই মন্দির বানিয়েছি'
১৮৯০ সালের দিকে রামনামী সমাজের শুরু হয়। কথিত,  পরশুরাম নামে এক দলিত এই সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চ বর্ণের ব্যক্তিরা 'নিম্ন বর্ণে'র ব্যক্তিদের মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার পর পরশুরাম এই সম্প্রদায় গড়ে তোলেন। মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে তখন থেকেই এই সম্প্রদায় সারা শরীরে ভগবান শ্রী রামের নাম ট্যাটু করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এই সম্প্রদায় মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

TAGS:
Advertisement