পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী যে তিরে রাবণকে বধ করেছিলেন রাম। ওই তিরের নাম অজয়বাণ। আহমেদাবাদের জয় ভোলে গ্রুপ পৌরাণিক শাস্ত্রে বর্ণিত অজয়বাণের একটি প্রতিরূপ তৈরি করেছে। এটি অযোধ্যার রাম মন্দিরে স্থাপন করা হবে। এই অজয়বাণ শাস্ত্র অনুসারে শক্তিপীঠ আম্বাজি মন্দিরের ব্রাহ্মণরা পূজা করে আসছেন। পৌরাণিক কাহিনীতে অজয়বাণের বর্ণনা রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, অজয়বাণের সঙ্গে শক্তিপীঠ আম্বাজির একটি অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। ত্রেতাযুগে যখন রাম এবং লক্ষ্মণ ঋষি শ্রৃঙ্গীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখন তিনি রামকে আদ্যশক্তির উপাসনা করে দেবী অম্বাকে খুশি করতে বলেছিলেন। অম্বা প্রসন্ন হয়ে রামকে বর দিয়েছিলেন।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ি এই অজয় তীর দিয়েই ভগবান শ্রী রাম রাবণকে বধ করেছিলেন। অজয়বন দিয়ে রাবণ বধের উল্লেখ মাতাজির আরতিতেও পাওয়া যায়। জয় ভোলে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা দীপেশ প্যাটেল, যিনি অজয়বনের প্রতিরূপ তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন, 'ত্রেতাযুগে মা অম্বা ভগবান শ্রী রামকে অজয়বাণ দিয়েছিলেন, যা দিয়ে তিনি রাবণকে হত্যা করেছিলেন।'
একটি বিশেষ বাক্সে রাখা হবে অজয়বাণ। ধনুর্বেদ গ্রন্থে তিরটি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। সেই কথা মাথায় রেখে অজয়বাণের প্রতিরূপ তৈরি করা হয়েছে। তাই এই তিরের নকশায় সামনের অংশ মোটা করা হয়েছে। অজয়বাণের জন্য একটি বিশেষ বাক্স ডিজাইন করতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে বাণের গুরুত্ব সম্পর্কে তথ্যও যুক্ত করা হবে।
অজয়বাণটি ৫ ফুট লম্বা এবং ওজন ১১.৫ কেজি। তৈরিতে সোনা, রূপা, তামা, পিতল এবং লোহা ব্যবহার করা হয়েছে যার ওজন ১১.৫ কেজি। যার দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে ৫ ফুট। এই অজয়বাণটি আহমেদাবাদের কারখানায় মাত্র ৫ দিনে, ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। ১০ জানুয়ারি অযোধ্যায় অবস্থিত শ্রীরাম মন্দিরে এই অজয়বাণ দেওয়া হবে। ভক্তদের ভক্তি ও বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অজয়বাণ দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপর ৮ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে অর্পণ করতে আহমেদাবাদ থেকে রওনা হবে এই অজয়বাণ।