Brain-Eating Ameoba: আরও একবার বিরল 'ব্রেন-ইটিং অ্যামিবা' সংক্রমণ, কেরলে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর: রিপোর্ট

ব্রেনে প্রবেশ করছে অ্যামিবা। কেরলে আরও একবার মস্তিষ্কের বিরল সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ল। এই বিরল রোগের নাম 'অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস'। দূষিত জল থেকে এই সংক্রমণ হচ্ছে। অ্যামিবা থেকেই এটা ঘটছে। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের মোট ৪টি কেস ধরা পড়েছে।

Advertisement
আরও একবার বিরল 'ব্রেন-ইটিং অ্যামিবা' সংক্রমণ, কেরলে আক্রান্ত ১৪ বছরের কিশোর: রিপোর্টBrain Eating Ameoba
হাইলাইটস
  • কেরলে আরও একবার মস্তিষ্কের বিরল সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ল।
  • এই বিরল রোগের নাম 'অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস'।
  • দূষিত জল থেকে এই সংক্রমণ হচ্ছে। অ্যামিবা থেকেই এটা ঘটছে।

ব্রেনে প্রবেশ করছে অ্যামিবা। কেরলে আরও একবার মস্তিষ্কের বিরল সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ল। এই বিরল রোগের নাম 'অ্যামিবিক মেনিনগোয়েনসেফালাইটিস'। দূষিত জল থেকে এই সংক্রমণ হচ্ছে। অ্যামিবা থেকেই এটা ঘটছে। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের মোট ৪টি কেস ধরা পড়েছে।

সংবাদ সংস্থা PTI-এর একটি রিপোর্টে অনুসারে, ১৪ বছর বয়সী ছেলেটি উত্তর কেরলের কোঝিকোড় জেলার পেয়োলির বাসিন্দা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রাজ্য মে মাস থেকে এই জাতীয় ৪টি কেস ধরা পড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী নাবালক বলে জানা গিয়েছে।এঁদের মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে।

নতুন এই কেসে চিকিৎসায় যুক্ত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, আক্রান্তকে ১ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে এর মধ্যে আশার আলো একটাই। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে ওই কিশোর। তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে মিলেছে এই খবর। 

ওই চিকিৎসক আরও জানান, শনিবার ওই কিশোরকে ভর্তি করার অল্প সময়ের মধ্যেই হাসপাতালে দ্রুত তার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিদেশ থেকে ওষুধ আনার ব্যবস্থা করা হয়। সেই ওষুধ প্রয়োগ করতেই চিকিৎসায় সারা দিতে শুরু করে কিশোর।

এর আগে, গত ৩ জুলাই, রাজ্যে এই জাতীয় অ্যামিবা সংক্রমনেই ১৪ বছর বয়সী আরও একটি ছেলের মৃত্যু হয়।

এছাড়াও আরও দু'জনের এভাবেই মৃত্যু হয়। মালাপ্পুরমের একটি ৫ বছরের মেয়ে এবং কান্নুরের একটি ১৩ বছর বয়সী মেয়ের - বিরল মস্তিষ্কের সংক্রমণের কারণে ২১ মে এবং ২৫ জুন মৃত্যু হয়েছিল।

শুক্রবার, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক মিটিংয়েও এই সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংক্রমণ প্রতিরোধে অপরিষ্কার জলাশয়ে স্নান না করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও পরিচ্ছনতা বিধি মেনে চলার কথা বলেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুইমিং পুলের যথাযথ ক্লোরিনেশন করায় গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ, পাবলিক সুইমিং পুল এবং ওয়াটার পার্কের জল পরিষ্কার রাখায় বাড়তি জোর দিতে হবে। এর পাশাপাশি জলাশয়ে, যেমন লেক, পুকুর ইত্যাদিতে নামার সময় শিশুদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই জলাশয়গুলিতে আশেপাশের নর্দমার জল, আবর্জনা এসে পড়ে। এর ফলে জল অত্যন্ত দূষিত থাকে। তাই এমন জলাশয় এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। বিশেষত শিশু-কিশোরদের জন্য এটি প্রযোজ্য। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশু-কিশোররাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement