রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলা জি-২০ সম্মেলনে ব্যক্তিগতভাবে যোগ দেবেন না। শুক্রবার ক্রেমলিন এই তথ্য দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। এদিকে, পুতিন ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় সদ্য সমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেন।
ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুট শহরে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচুর। বাখমুট দখল করতে পারলে ডনবাস শিল্পতালুক অনেকটাই রাশিয়ার হাতের নাগালে চলে আসবে। উল্টো দিকে ইউক্রেনও মরিয়া। কূটনৈতিক-যুদ্ধও অব্যাহত। ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ-আমেরিকা। রাশিয়ার পাশে চিন। এসবের মধ্যেই ক্রেমলিন জানিয়েছে, আসছেন না পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের সীমান্ত পেরোননি পুতিন। গত বছর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আয়োজিত জি২০ সম্মেলনে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন তিনি।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হওয়া জি২০-র রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেননি পুতিন। রাশিয়ার তরফে বৈঠকে যোগ দেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ওই বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যে ঘোষণাপত্রের কথা বলা হয়, তাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর বিবৃতি জারির বিরোধিতা করে চিন, সৌদি আরব, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়ার মতো কিছু দেশ। ভারতের পক্ষ থেকে চিন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিলের সুরে জানানো হয়েছিল, সংঘাতের উল্লেখ থাকলেও তা নিয়ে যেন রাশিয়াকে অতিরিক্ত ভর্ৎসনা করা না হয়। কিন্তু পশ্চিমি দেশগুলির তরফে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ভূমিকার সমালোচনা করা হয়।