বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনও থামেনি। সেদেশে আজ অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন মহম্মদ ইউনুস। এদিকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ভারতে রয়েছেন। তিনি কি ভারতে থাকবেন না কি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে কথা বলেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, উভয় নেতা বাংলাদেশ ও পশ্চিম এশিয়ার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। জয়শঙ্কর শেখ হাসিনার ভারতে আসার অনুমোদনের কথা আগেই জানিয়েছিলেন। তিনি সংসদে জানিয়েছিলেন, কীভাবে তিনি শেখ হাসিনাকে এখানে আসার অনুমতি দিয়েছিলেন। এই সপ্তাহের শুরুতে জয়শঙ্কর সংসদে জানান, শেখ হাসিনা আপাতত ভারত সফরের অনুমতি চেয়েছিলেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের কথা ভারত বোঝে। আমরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিষয়ে সচেতন এবং বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমরা উদ্বিগ্ন থাকব। সকল নাগরিকের কল্যাণ করা সরকারের দায়িত্ব।'
বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ কি বিপদে পড়েছে? রণধীর জয়সওয়ালকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রণধীর বলেন, 'বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আমরা ঢাকায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে চাই। যাতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে পারে।'
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৯ হাজার শিক্ষার্থী ফিরেছে। ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসতে চাইলে হাইকমিশন তাঁদের সাহায্য করছে। 'আমরা আশা করি নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং অন্যান্য মানুষ ফিরে আসতে পারবে।'